বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশ ছাড়লেন তালেবান নেতার সাক্ষাৎকার নেয়া সেই নারী সাংবাদিক

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২১ ১১:১১

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আশাবাদী আরগান্দ বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, তালেবান অঙ্গীকার রাখলে ও নিরাপদ বোধ করলে আমি দেশে ফিরে আসব। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করব।’

তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরপরই সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল হক হাম্মাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন আফগানিস্তানের নারী সাংবাদিক বেহেশতা আরগান্দ।

আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলোনিউজের ওই সাংবাদিক প্রথম নারী সাংবাদিক হিসেবে কোনো তালেবান নেতার সাক্ষাৎকার নেন।

১৭ আগস্টের ওই সাক্ষাৎকারের দুই দিন পর আরেকটি যুগান্তকারী কাজ করেন ২৪ বছর বয়সী আরগান্দ।

তালেবানের প্রাণনাশের চেষ্টার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া মালালা ইউসুফজাইয়ের সাক্ষাৎকার নেন তিনি।

আফগানিস্তানের কোনো টেলিভিশনকে প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা।

পরপর দুটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপনের পর হঠাৎ দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আরগান্দ।

তিনি বলেন, ‘দেশ ছাড়ছি এ কারণ যে, লাখ লাখ আফগানের মতো আমিও তালেবানকে ভয় পাচ্ছি।’

আফগান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ী ও টোলোনিউজের স্বত্বাধিকারী সাদ মোহসেনি সিএনএনকে বলেন, ‘আফগানিস্তানের খ্যাতনামা সাংবাদিকদের বেশির ভাগই দেশ ছেড়েছেন।

‘তাদের জায়গায় অন্যদের নিয়োগ দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যেসব সাংবাদিক দেশে থাকতে অনিরাপদ বোধ করছেন, তাদের দেশ ছাড়তে সহযোগিতা করা এবং টোলোনিউজের কার্যক্রম চলমান রাখা।’

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেন আরগান্দ। বিভিন্ন বার্তা সংস্থা ও রেডিও স্টেশনে কাজ করার পর চলতি বছরে উপস্থাপক হিসেবে টোলোনিউজে যোগ দেন তিনি।

আরগান্দ বলেন, ‘টোলোনিউজে দেড় মাসের বেশি কাজ করি আমি। এরপরই তালেবান দেশের ক্ষমতা দখল করে।’

নারী সাংবাদিকের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে তালেবান নেতা হাম্মাদ সম্মত হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার বোধহয় নারী অধিকারের ইস্যুতে নমনীয় হবে তালেবান। কিন্তু আরগান্দের প্রস্থানে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেল।

আরগান্দের তালেবানের নেতার সাক্ষাৎকারের বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে এক কলামে মোহসেনি বলেছিলেন, ‘নারী এক উপস্থাপকের মুখোমুখি বসে টেলিভিশন স্টুডিওতে লাইভে এই প্রথম তালেবানের কোনো প্রতিনিধি সাক্ষাৎকার দিলেন।

‘এটি আফগানিস্তানের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। বিশ্বের কাছে তালেবান নিজেদের মধ্যমপন্থি হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।’

এ বিষয়ে আরগান্দ বলেন, ‘সাক্ষাৎকারটি নেয়া দুরূহ ছিল। তবে আফগান নারীর স্বার্থে এটি করেছিলাম।

‘সে সময় নিজেকে বোঝাই, কাউকে না কাউকে শুরু করতে হবে। তালেবানের ভয়ে আমরা যদি ঘরেই থাকি, কাজে না যাই তখন তারা (তালেবান) বলবে, নারীরা কাজ করতে চায় না।’

তিনি বলেন, “তালেবানের ওই নেতাকে আমি বলেছিলাম, ‘আমরা আমাদের অধিকার চাই। চাকরি করতে চাই। সমাজে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই।’”

মালালার সাক্ষাৎকার নেয়ার দুদিন পর তার কাছে সহযোগিতার জন্য ছুটে যান আরগান্দ।

মঙ্গলবার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কাতারের এক উদ্ধার বিমানে দেশ ছাড়েন তিনি।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আশাবাদী আরগান্দ বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, তালেবান অঙ্গীকার রাখলে ও নিরাপদ বোধ করলে আমি আমার দেশে ফিরে আসব।

‘দেশে ফিরে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর