বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদির অর্থনীতি মানসিক দেউলিয়াত্বের লক্ষণ: বিজেপি সাংসদ

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২১ ০৯:১৮

টুইটে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, ‘অর্থনীতির গভীর অবনতি হলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করা মানসিক দেউলিয়া ও হতাশার লক্ষণ। এটি একটি সুস্থ আদর্শগত আবশ্যিক হতে পারে না। মোদি সরকার অস্বীকার করতে পারে না, সিএসওর হিসাবে ২০১৬ থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রতি ত্রৈমাসিকের পর ত্রৈমাসিকে কমে গেছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এক সাংসদ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন। দলটির প্রবীণ সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, মোদি সরকারের অর্থনীতি মানসিক দেউলিয়া ও হতাশার লক্ষণের অর্থনীতি।

এক টুইটে রোববার ভোরে মোদি সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোতে বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে ৬ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহে নেয়া নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।

টুইটে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, ‘অর্থনীতির গভীর অবনতি হলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করা মানসিক দেউলিয়া ও হতাশার লক্ষণ। এটি একটি সুস্থ আদর্শগত আবশ্যিক হতে পারে না। মোদি সরকার অস্বীকার করতে পারে না, সিএসওর হিসাবে ২০১৬ থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রতি ত্রৈমাসিকের পর ত্রৈমাসিকে কমে গেছে।

২৩ আগস্ট ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৬ লাখ কোটি টাকার বিশেষ উদ্যোগ ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’ চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

নতুন প্রকল্পের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সীতারামন বলেছিলেন, যেসব ক্ষেত্রে টাকা খরচ করেছে সরকার, কিন্তু সেগুলো পড়ে রয়েছে, সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, সেগুলো এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। বেসরকারি সংস্থাকে অংশগ্রহণ করিয়ে সেসব জায়গা থেকেই টাকা তুলে আনার কথা বলেন সীতারামন।

সেই টাকা ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পে খরচ করতে সুবিধা হবে সরকারের।

যদিও বিরোধীরা বলেছেন, সরকারের শূন্য কোষাগার পূরণ করতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেবার নতুন কৌশল ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’। এবার বিরোধীদের সঙ্গে সুর মেলালেন বিজেপির প্রবীণ সাংসদও।

তবে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর এই বিরোধিতা নতুন নয়। নরেন্দ্র মোদি সরকারের আর্থিক নীতি বা পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনায় বারে বারেই কঠোর মন্তব্য করেছেন তিনি।

১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের কাবুলে রাষ্ট্রপতি ভবন দখলে নেয়। তার আগের দিনই তিনি টুইট করে বলেন, ‘দুই আমলা জয়শঙ্কর ও দোভাল কী আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে অগোছাল অবস্থায় নামানোর জন্য জাতির কাছে কখনো ক্ষমা চাইবেন? তাদের খোলা হাত দেওয়া হয়েছিল (পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে), কারণ মোদি সমকক্ষ রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করেন না। এখন আমরা আমাদের সব প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলায় আছি।’

একই দিনে আরেকটি টুইটে বলেন, ‘আমি মোদির অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির বিরোধী। আমি যে কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে এ নিয়ে বিতর্ক করতে প্রস্তুত। আপনি কী অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের কথা শুনেছেন? মোদি ভারতের রাজা নন।’

এ বিভাগের আরো খবর