আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় এক সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই ব্যক্তি কাবুল বিমানবন্দরে গাড়িবোমা নিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় ড্রোন হামলায় নিহত হয় সেই জঙ্গি। বিধ্বস্ত হয় তার বোমা ভর্তি গাড়িটি।’
তিনি জানান গাড়িটিতে বিস্ফোরক থাকায় ড্রোন হামলার পরে আবারও বিস্ফোরণ ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়িটিতে চড়ে জঙ্গি সংগঠন আইএস খোরাসানের একজন আত্মঘাতী সদস্য হামলার জন্যে কাবুল বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন।
রোববারের এই হামলাটি ছিল জঙ্গি দমনে কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ড্রোন হামলা।
এর আগে, আইএস-কের সন্দেহভাজন যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে কাবুলে ড্রোন চালায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
রোববার বিকেলে ওই হামলা হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘কাবুলে এক গাড়িতে ড্রোন হামলা হয়েছে।
‘গাড়িটিতে চড়ে আইএসের বেশ কয়েকজন আত্মঘাতী সদস্য হামলার লক্ষ্যে কাবুল বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, গাড়িটিতে শক্তিশালী বিস্ফোরক থাকায় ড্রোন হামলার পরে আরও বিস্ফোরণ ঘটে।
দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার বিকেলেই কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে একটি রকেট হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে।
দেশটির সাবেক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘কাবুলের এক বাড়িতে একটি রকেট আঘাত হেনেছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাসহ ১৭০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।