জেন্ডার বৈষম্যের মাশুল হিসেবে ১৩ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যের অভিযোগে ২০১৫ সালে ফেডারেল আদালতে মামলা করে গ্লাউকেস্টার কাউন্টি স্কুলের ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী গেভিন গিম। তার পক্ষে চলতি সপ্তাহে মামলাটির রায় দেয় আদালত।
অধিকারবিষয়ক অলাভজনক সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গেভিন গ্রিমের মামলার খরচ ও তার আইনজীবীদের ফি বাবদ বিপুল অঙ্কের অর্থ প্রদানে সম্মত হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মামলার অভিযোগে গ্রিম বলেছিলেন, স্কুলটির নীতিমালা অনুযায়ী তিনি ছেলেদের টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না, যা ফেডারেল আইন বহির্ভূত। ‘টাইটেল নাইন’ হিসেবে পরিচিত ওই আইনে স্কুলের কার্যক্রমে জেন্ডার বৈষম্য নিষিদ্ধ।
এনবিসি জানায়, নারী হিসেবে গ্রিমের জন্ম হলেও পরে আইনি প্রক্রিয়া মেনে তার নাম বদলানো হয়েছে। হাই স্কুলের শিক্ষার্থী থাকাকালীন হরমোন থেরাপিও শুরু করেছিলেন তিনি।
স্কুলের অধ্যক্ষ সে সময় তাকে ছেলেদের টয়লেট ব্যবহারের অনুমতি দিলেও পরে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ তাতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এর আগে ফেডারেল কোর্ট দুইবার গ্রিমের পক্ষে রায় দিলেও চলতি বছরের জুনে মামলার শুনানিতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
সে সময় বিচারপতিসহ রক্ষণশীল রাজনীতিকদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা করেন।
পরে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ও জেলার রাজনীতিতেও ট্রান্সজেন্ডারদের টয়লেট ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাপে পড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয় গ্লাউকেস্টার কাউন্টি স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ।