আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রস্তুত তালেবান।
এক তালেবান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত ইশারার জন্য অপেক্ষা করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
খুব দ্রুতই বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তালেবান কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার কাজ শুরু করতে প্রস্তুত তালেবানের প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদরা।’
তালেবান গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর বিমানবন্দর হয়ে দেশ ছাড়তে হুড়াহুড়ি পড়ে যায় বিদেশি নাগরিক ও সাধারণ আফগানদের মধ্যে। লাখো মানুষের ভিড়ে চরম নৈরাজ্যের মধ্যে সে সময় বিমানবন্দরের বাইরে প্রহরা বসায় তালেবান।
তবে কয়েক হাজার বিদেশি সেনার উপস্থিতিতে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেনি তালেবান যোদ্ধারা।
দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক ও আফগান সহযোগীসহ প্রায় সোয়া এক লাখ মানুষকে সামরিক ফ্লাইটের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে সরিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
পুরো সময় বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি কার্যক্রমের পুরোটাই এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
এরই মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রমে ইতি টেনে কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ। উদ্ধার অভিযানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আমেরিকান সেনাদের একটি দল এরই মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে বিমানবন্দরে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সতর্কতা জারির পর সেখানে ভিড় কমতে শুরু করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের ভেতরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় ১৩ আমেরিকান সেনাসহ কমপক্ষে ১৭০ জন। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্থানীয় শাখা আইএস-কে হামলার দায় স্বীকার করে।
ওই হামলায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে তালেবান।