কাবুল বিমানবন্দর হয়ে আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের উদ্ধার অভিযানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমানবন্দর থেকে উদ্ধারের অপেক্ষায় এক হাজারের কিছু বেশি বেসামরিক নাগরিকদের শেষ দলটি।
আফগান রাজধানী থেকে এক পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের কাজও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
কাবুল বিমানবন্দরে দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা রোববার বলেন, ‘আজকের মধ্যে প্রত্যেক বিদেশি নাগরিক ও ঝুঁকিতে থাকা সবাইকে আমরা আফগানিস্তান থেকে বের করে নিতে চাই। এ প্রক্রিয়া শেষ হলেই বিমানবন্দর ছেড়ে দেবে সেনারা।’
নিরাপদ উদ্ধার অভিযান নিশ্চিতে দুই সপ্তাহ আগে পাঁচ হাজার ৮০০ সেনাকে কাবুলে পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। তাদের সবাইকে বিমানবন্দরের ভেতরে নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা শনিবার রয়টার্সকে জানান, বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে চার হাজারের কম আমেরিকান সেনা অবস্থান করছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবিও কিছুসংখ্যক সেনা প্রত্যাহারের খবর সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তবে সঠিক সংখ্যাটি জানাতে রাজি হননি তিনি।
অভিযানে সমাপ্তি ঘোষণার চূড়ান্ত তারিখ ও সময় এখনও নির্ধারণ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে ৩১ আগস্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন হবে না বলে সবশেষ ঘোষণায় জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপরই তড়িঘড়ি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট ন্যাটো।
এরই মধ্যে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের উদ্ধার কার্যক্রমে ইতি টেনেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ অনেক দেশ।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক ও আফগান সহযোগীসহ প্রায় সোয়া এক লাখ মানুষকে সামরিক ফ্লাইটের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে সরানো হয়েছে।