কাবুল বিমানবন্দর হয়ে আফগানিস্তান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধার কার্যক্রমে ইতি টেনেছে যুক্তরাজ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকারের সবচেয়ে বড় উদ্ধারকাজ ছিল এটি।
কাবুল থেকে শনিবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেয় ব্রিটিশ কূটনীতিক ও সেনাদের শেষ দলটি। আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক জোটের হয়ে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে সমাপ্তি ঘটল এর মাধ্যমে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগানিস্তানে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিক ও তাদের আফগান সহযোগীদের উদ্ধারে ‘অপারেশন পিটিং’ শুরু করে লন্ডন।
এ অভিযান পরিচালনায় কাবুলে পাঠানো হয়েছিল সেনা, কূটনীতিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ এক হাজারের বেশি মানুষকে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানের আওতায় ১৪ আগস্ট থেকে দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ে ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে বিমানে করে কাবুল থেকে বের করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এদের মধ্যে ব্রিটিশ নাগরিক ও তাদের পরিবারের সদস্য প্রায় পাঁচ হাজার। বাকিরা ব্রিটিশ সরকারের অধীনে কাজ করা সাবেক আফগান কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্য।
অভিযান শেষে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘এখন সময় গত দুই দশকে আফগানিস্তানে আমাদের আত্মত্যাগ ও অর্জন পুনর্মূল্যায়নের।’
সশস্ত্র বাহিনীর উদ্দেশে এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘তালেবানের অস্ত্রের সামনে কাবুলের পতন দেখা সহজ নয়। বিশেষ করে আফগানিস্তানে যুদ্ধে প্রাণ হারানো ৪৫৭ জন সেনার পরিবারের সদস্য, প্রিয়জন আর বন্ধুদের জন্য এটা ভীষণ কঠিন সময়।’
এর আগে ব্রিটিশ চিফ অফ দ্য ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল স্যার নিক কার্টার জানান, চলমান পরিস্থিতিতে অনেক মানুষকে আফগানিস্তানে ফেলে রেখেই উদ্ধার কার্যক্রমে ইতি টানতে হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার উদ্ধার অভিযান শেষ করে জার্মানি-ফ্রান্স।