রাজনীতিতে না পেরে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় এজেন্সিগুলোকে লেলিয়ে দিয়ে বিজেপি সরকার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে বলে, অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন শনিবার কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ ১ এবং ৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির অফিসে গিয়ে তাদের দেখা করতে বলা হয়৷
এর পরই বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি৷
প্রতিষ্ঠা দিবসের ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘দিল্লির সরকার যখন রাজনীতিতে পেরে ওঠে না, তখন রাষ্ট্রের এজেন্সিগুলোকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। মানবাধিকার কমিশনকে লেলিয়ে দেয়। কিন্তু রাজনীতিতে এসব সংস্থার জায়গা নেই। রাজনীতি সেবার জায়গা। মানুষের কাজ করার জায়গা। প্রতিহিংসার রাজনীতি না করে, পারলে অভিষেকদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করো।’
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, ‘তুমি একটা ইডি দেখাবে, আমি হাজার হাজার কাগজ পাঠাবো। দেখব তারপর, কেস হয় কিনা, না হলে আমরাও আদালতে যাব। সবটাই তো ম্যানেজ করে রেখেছো।’
তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘কয়লা মন্ত্রণালয় কেন্দ্রের। বহু কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রী যোগাযোগ রেখেছেন কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে। ভোট প্রচারে আসানসোলে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কয়লা মাফিয়াদের হোটেলে উঠেছেন। কয়লা চুরিতে শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে ? মনে রাখুন অমিত শাহ এটা চলতে পারে না।’
বিধানসভা নির্বাচনের আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে বাড়িতে গিয়ে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এবার নোটিশ দিয়ে অভিষেক ও রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ‘বিজেপি ষড়যন্ত্র করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে দলের শাখা সংগঠন হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি।’