আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠে প্রাণীদের আশ্রম চালাতেন যুক্তরাজ্যের নাগরিক পল পেন ফার্থিং। যুক্তরাজ্যের অভিজাত সাবেক সেনা কর্মকর্তা পল তার আশ্রমে থাকা ২০০ কুকুর-বিড়াল নিয়ে কাবুল ছাড়তে চেয়েছিলেন।
তালেবান আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আশ্রমের প্রাণী নিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরতে ৫২ বছর বয়সী পল ৫ লাখ ডলারে একটি বিমান ভাড়া করেন। তবে শেষ পর্যন্ত প্রাণীগুলো নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে পলের।
শেষ সময়ে এসে বিমানবন্দরে প্রবেশের নিয়মে পরিবর্তন আনলে তিনি আটকে পড়েন বাইরে। অ্যাবে গেটের কাছে অবস্থান করার সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে গুরুতর আহত হন পল।
এ ঘটনায় পল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে দোষারোপ করে বলেন, তিনি আমাদের একটা ‘জাহান্নামের’ মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।
তার দাবি, বিমানবন্দরে প্রবেশের মাত্র দুই ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্র কাগজপত্র প্রক্রিয়ার নিয়মে বদল আনে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের শুরু থেকে অসহায় প্রাণীদের উদ্ধার করে পল কাবুলের কাছেই তার আশ্রমে রাখতেন। সেখানেই থাকতেন তার কিছু কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।
এসব প্রাণী নিয়ে আফগানিস্তান ছাড়ার প্রচেষ্টার নাম দেয়া হয় অপারেশন আর্ক।
পল জানান, কর্মী, পরিবারের সদস্য ও প্রাণীগুলো নিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা অঞ্চলের মধ্যে প্রবেশও করেন তিনি। তখন খবর আসে, বাইডেন প্রশাসন কিছু নিয়মে পরিবর্তন এনেছেন। এমন খবরে বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বিস্ফোরণ হয় বলে জানান তিনি।
এক টুইটে শুক্রবার পল জানান, যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই তারা ব্রিটিশ কাগজপত্র পক্রিয়াকে এভাবে বিপর্যস্ত করেছে।
কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি। আহত হয়েছে দুই শতাধিক।
পল বলেন, ‘হামলাটি ছিল ভয়াবহ।’
পরে কুকুর-বিড়াল নিয়ে যুক্তরাজ্যে ফেরার পরিকল্পনা বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা।