বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কীটপতঙ্গের ঘাতক কৃত্রিম আলো?

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৫১

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোর ব্যবহারের কারণে যে স্থানীয় পোকামাকড়ের বসতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, তা এখন প্রমাণিত। পোকামাকড় কমে যাওয়ায় পাখি আর অন্যান্য বন্যপ্রাণীর খাবারের সংকট তৈরি হচ্ছে।

গত কয়েক দশকে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে কীটপতঙ্গ, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পথে বড় ঝুঁকি বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, কীটপতঙ্গের এভাবে কমে যাওয়ার বড় কারণ হতে পারে আলো দূষণ।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পোকামাকড়ের সংখ্যা কমতে থাকার পেছনে আধুনিক যুগের লাইট এমিটিং ডায়োড বা এলইডি লাইটের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে যেগুলো সড়কে ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন গবেষকরা।

যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, সড়কে ব্যবহৃত কৃত্রিম এলইডি লাইটের কারণে বদলে গেছে নিশাচর পোকার আচরণ। শুঁয়োপোকা কমে এসেছে অর্ধেকে।

জলবায়ু পরিবর্তন, বনাঞ্চল ধ্বংস, কীটনাশকের অতি ব্যবহার, নদী দূষণসহ বিভিন্ন কারণে আগে থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে কমছিল পোকামাকড়। এর ওপর রাতে কৃত্রিম আলোর ব্যবহার আগুনে ঘি ঢেলেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

যদিও রাতে কৃত্রিম আলো ব্যবহারের কারণে কীটপতঙ্গ কী পরিমাণে কমেছে, সে সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স অ্যাডভান্সেসে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোর ব্যবহারের কারণে যে স্থানীয় পোকামাকড়ের বসতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, তা এখন প্রমাণিত। পোকামাকড় কমে যাওয়ায় পাখি আর অন্যান্য বন্যপ্রাণীর খাবারের সংকট তৈরি হচ্ছে।

ইউকে সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজির প্রধান গবেষক ডগলাস বোয়েস বলেন, ‘কীটপতঙ্গরা বেশ বিপদে আছে। এর প্রমাণ পেয়েছি আমরা। এমন অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাবগুলো কমাতে যা কিছু করণীয়, সেগুলো করে ফেলা দরকার।’

গবেষকরা মনে করছেন, সড়কে রাতে জ্বালানো কৃত্রিম আলোর কারণে নিশাচর কীটপতঙ্গের ডিম পাড়া ও ডিমে তা দেয়া ব্যাহত হয়। কারণ তারা ভাবে আলোতে তাদের বাদুর বা অন্য প্রাণী দেখে ফেলবে; খেয়েও ফেলবে।

আবার যেসব শুঁয়োপোকা এলইডি আলোর নিচে জন্মায়, সেগুলোর খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস বদলে যায়।

এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সমাধানের পথও বলে দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, জননিরাপত্তায় বিঘ্ন না ঘটিয়েই পোকামাকড় রক্ষার বাস্তব উপায় আছে।

উদাহরণ হিসেবে তারা ভোররাতে আলোর তীব্রতা কমিয়ে দেয়া, ক্ষতিকর রশ্মির মাত্রা কমাতে মোশন সেন্সর বা কালার ফিল্টার ব্যবহারের কথা বলেছেন।

স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি ও সরীসৃপের তুলনায় মৌমাছি, পিঁপড়া, গুবরে পোকা আট গুণ দ্রুততায় বিলুপ্ত হয় বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে মশা, মাছি, তেলাপোকার মতো ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ বাড়ে অস্বাভাবিকভাবে।

এ বিভাগের আরো খবর