বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আইএসের ‘পরিকল্পনাকারী’ নিহত

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২১ ০৯:২০

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমতি নিয়ে আইএস-বিরোধী বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের উদ্ধার প্রচেষ্টা চলার মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে আইএস দ্বিতীয় হামলা চালাতে পারে বলে ধারণার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলার ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে শনিবার এ হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে একজন।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহর প্রদেশে আইএসের এক সদস্যকে লক্ষ্য করে ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়। ওই ব্যক্তি কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে একজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।

হামলায় কোনো বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির খবর মেলেনি বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন উইলিয়াম আরবান।

যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমতি নিয়ে আইএস-বিরোধী বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের উদ্ধার প্রচেষ্টা চলার মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে আইএস দ্বিতীয় হামলা চালাতে পারে বলে আভাস দিয়েছে হোয়াইট হাউস। বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবারের মধ্যে সেনাসহ সব নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের।

‌এদিকে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। এদের মধ্যে ১১ সেনাসহ ১৩ আমেরিকান রয়েছে।

প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণের পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের আরেক কর্মকর্তা শুক্রবার জানান, সুইসাইড ভেস্ট পরিহিত ব্যক্তি বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ২৫ পাউন্ড বিস্ফোরক ছিল তার দেহে।

সাধারণত একেকটি সুইসাইড ভেস্ট পাঁচ থেকে ১০ পাউন্ড পর্যন্ত বিস্ফোরক বহনে সক্ষম।

হোয়াইট হাউস স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষকে বিমানে করে কাবুল থেকে বের করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক জোটের সামরিক বিমানে করে কাবুল ছাড়েন এসব মানুষ।

সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগানিস্তানে অবস্থানরত নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরাতে তৎপরতা শুরু করে বিভিন্ন দেশ। তাদের সঙ্গে যেকোনোভাবে বিমানে উঠতে মরিয়া হাজারো আফগান পরিবার। তালেবানের বন্দুক আর চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে তারা।

এ অবস্থায় প্রচণ্ড ভিড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি পুরো এলাকায়। নিরাপদে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে দুই সপ্তাহ আগে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছয় হাজার সেনাকে কাবুলে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। তারা সবাই বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির কথা উল্লেখ করে শুক্রবার উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফ্রান্স। প্রায় তিন হাজার মানুষকে কাবুল থেকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে দেশটি।

এর আগে উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে জার্মানিও। দেশটি কাবুল বিমানবন্দর থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে বের করেছে।

বিভিন্ন সূত্রের দাবি, কাবুল বিমানবন্দরে উদ্ধার তৎপরতা প্রায় গুছিয়ে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সেনারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে ছেড়ে দেয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

তালেবানের এক মুখপাত্রও শুক্রবার রাতে দাবি করেন, এরই মধ্যে বিমানবন্দরের বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছেন যোদ্ধারা। যদিও এ দাবি খারিজ করে দিয়েছে পেন্টাগন।

পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে এক লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষকে কাবুল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এখনও বিমানবন্দরের ভেতরে অপেক্ষা করছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।

নিরাপত্তা হুমকির কারণে বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে এবং প্রবেশপথ এড়িয়ে চলতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে কাবুলের আমেরিকান দূতাবাস।

এ বিভাগের আরো খবর