আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৯২ জন নিহত হওয়ার পর আরও হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউজ বলছে, আগামী কয়েক দিনে বিমানবন্দরে আরও ভয়াবহ হামলা হতে পারে বলে মনে করছে তারা।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে অনেক মানুষ বিমানবন্দর দিয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে গেছেন। গত দুই সপ্তাহে লক্ষাধিক মানুষ আফগানিস্তান ছেড়েছেন।
গত বৃহস্পতিবারের হামলায় সরকারিভাবে নিহতের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, বিমানবন্দরের ওপর এখনও ‘সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য’ হুমকি আছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে হামলার আশঙ্কা আছে এবং আমরা প্রস্তুত। আমরা এ হুমকিগুলো নিয়ে কাজ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির সহযোগী বাহিনীর সদস্যরা ৩১ আগস্টের মধ্যে নিজ নিজ নাগরিক ও তালেবানের কারণে ঝুঁকিতে পড়া আফগানদের সরিয়ে নিতে চায়।
৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনাকে সরিয়ে নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আত্মঘাতী বোমা হামলা
কাবুল বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয় বলে দাবি করে ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান প্রভিন্স বা আইএস-কে। তারা তালেবান ও পশ্চিমাদের শত্রু বলে মনে করে।
গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, তাদের এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী, তাদের দোভাষী ও সহযোগীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
পেন্টাগনও শুক্রবার জানায়, এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ওই হামলাটি চালায়। এর আগে মনে করা হচ্ছিল দুজন হামলা চালিয়েছে।
এ হামলার পর একাধিক সংবাদমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকসহ ৯২ জন নিহতের খবর জানায়। তবে বিবিসি জানিয়েছে, হামলায় ১৭০ জন নিহত হয়েছেন।