বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংসদদের বিরুদ্ধে তদন্তে দেরি নিয়ে প্রশ্ন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ২২:০২

পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি জানান, ‘প্রাক্তন সাংসদসহ ৫১ জন সাংসদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা রয়েছে। কোনো কোনো মামলা আট-দশ বছরের পুরনো। আর ১২১টি সিবিআইর মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো মামলা ২০১০ এর। ৩৭টি মামলার তদন্ত চলছে।’  

ভারতে সংসদ সদস্য এবং বিধানসভার সদস্যদের (এমএলএ) বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত বিচারের জন্য নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে। তবে বিচারক স্বল্পতার কারণে এ ধরনের নির্দেশ বাস্তবায়ন সহজ হবে না। এমনটাই মনে করে সুপ্রিম ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চ অবশ্য বলেছে, এ ধরনের অভিযুক্ত আইনপ্রণেতাদের মাথায় খড়গ ঝুলিয়ে রাখা উচিত নয় এবং বিচারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দেরি এড়াতে একটি নীতি তৈরি করা উচিত।

আদালত মন্তব্য করেছে, ‘এটি দ্রুত করো,ওটা দ্রুত করো-বলা সহজ, কিন্তু বিচারক কোথায়?’

বুধবার ভারত সরকারের দুই তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নবানের মুখে পড়তে হয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিভারপরি সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি।

একই দিন ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া যেন সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলা না তোলা হয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলা বিচারপতি বদল না করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে হওয়ার মামলার তদন্তে কেন দেরি হয়, ওই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। ২০১৬ সালের করা মামলাটির শুনানি ছিল বুধবার।

সাংসদ বা বিধায়কদের বিরুদ্ধে হওয়া কোনো কোনো মামলায় ১৫ বছর কেটে গেলেও চার্জশিট পর্যন্ত জমা পড়েনি। এদিন এ প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ জানান বিচারপতিরা।

ইডি ও সিবিআইর দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ৫১ জন সাংসদ ও ৭১ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির মামলা রয়েছে। অন্যদিকে ১২১ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে সিবিআইর মামলা।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি জানান, ‘প্রাক্তন সাংসদসহ ৫১ জন সাংসদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা রয়েছে। কোনো কোনো মামলা আট-দশ বছরের পুরনো। আর ১২১টি সিবিআইর মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো মামলা ২০১০ এর। ৩৭টি মামলার তদন্ত চলছে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা অ্যাজেন্সিগুলোকে হতাশ করতে চাই না। আমরা জানি তাদের কাঁধেও বিচারপতিদের মতোই প্রবল কাজের ভার। তাই আমরা ধৈর্য ধরছি।’

আর্থিক তছরুপের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক মামলাতে শুধু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। আর চার্জশিট না পেশ করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কোনো অর্থ নেই।’

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘আমি এক্ষেত্রে কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। জানাতে চাইছি, ইডির কোনো কোনো মামলায় বিদেশ থেকে তথ্য পাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ওই তথ্য পেতে দেরি হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে সময় লেগে যায়।’

তিনি জানান, বিচারপতিরা মামলার একটা সময়সীমা ঠিক করে দিতে পারে। তবে কর্মী সংখ্যা কম থাকা যে মামলায় দেরি হওয়ার একটা বড় কারণ, সে কথা উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।

মামলার শুনানিতে সলিসিটির জেনারেলকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে বিচারপতিদের বেঞ্চ। দুই বিশেষ নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

প্রথমত যে রাজ্যে মামলা হয়েছে, ওই রাজ্যের হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া সাংসদ বা বিধায়কের বিরুদ্ধে হওয়া কোনো মামলা তোলা যাবে না।

দুই, অবসর না নেয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া কোনো বিচারপতিকে সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে সরানো যাবে না।

এ বিভাগের আরো খবর