আফগানিস্তানে নানা খাতে দক্ষ নাগরিকদের দেশ ছাড়তে উৎসাহ না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
রাজধানী কাবুলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান বলে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মুজাহিদ বলেন, ‘প্রকৌশলী, চিকিৎসকসহ অন্য দক্ষ নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের এটা বন্ধ করতে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষ আফগানদের দেশ ছাড়তে বিদেশি দেশগুলো উৎসাহ দিচ্ছে। তাদের এটা বন্ধ করা উচিত। কারণ দক্ষ নাগরিকের মেধা আফগানিস্তানের দরকার।’
তালেবানের মুখপাত্র মুজাহিদ বলেন, ‘আফগান নাগরিকদের বাড়ি, কর্মস্থল ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরা উচিত। তাদের বিপদের ঝুঁকি নেই।’
আফগান নাগরিকদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়ে মুজাহিদ বলেন, ‘চলুন, একসঙ্গে বাঁচি। আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নারীদের চাকরি করতে স্থায়ীভাবে মানা করা হবে না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ একটি কার্যপ্রণালি নির্ধারণ করবে, যাতে তারা ফের কাজে যোগ দিতে পারেন।
‘এ ছাড়া নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটা পর্যন্ত সরকারি নারী কর্মকর্তাদের বাড়িতেই অবস্থান করা উচিত।’
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘আপনাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। দূতাবাস বন্ধ বা কাজ স্থগিত করার প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার পাশাপাশি হাসপাতাল, স্থানীয় সরকার, টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশন শিগগিরই চালু করা হবে।’
আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলে ফের সংবাদ সম্মেলনে জানান মুজাহিদ।
চলতি মাসের ৩১ তারিখে নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে বলে জানান তিনি।
মুজাহিদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিমান, বিমানবন্দর সবই রয়েছে। এখান থেকে তারা তাদের নাগরিক ও ঠিকাদারদের সহজেই দেশে ফেরত নিতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ৩১ তারিখের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনাকে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের বিষয়ে আশাবাদী তিনি। তবে মিত্রশক্তি ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য তাকে ওই সময়সীমা বাড়ানোর চাপ দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ৯ দিন আগে তালেবানের হাতে আফগানিস্তান পতনের পর এখন পর্যন্ত কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৫০ হাজার বিদেশি ও আফগান নাগরিক দেশ ছেড়েছে।