আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের আন্দারাব উপত্যকায় তালেবানের কারণে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ‘ভারপ্রাপ্ত’ প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ।
ওই অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তালেবানকে দায়ীও করেন তিনি।
ভারতভিত্তিক বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্দারাব উপত্যকা দখলকে ঘিরে তালেবান ও প্রতিরোধ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর সেখানে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তালেবান।
আশির দশকে তালেবানবিরোধী আলোচিত যোদ্ধা প্রয়াত আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে রাজধানী কাবুল থেকে দেড় শ মাইল উত্তরে পাঞ্জশির উপত্যকায় স্থানীয় বাহিনী সম্প্রতি তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির দেশত্যাগের পর নিজেকে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করা সালেহ টুইটবার্তায় বলেন, ‘আন্দারাব উপত্যকায় খাদ্য ও জ্বালানি ঢুকতে দিচ্ছে না তালেবান।
‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এ অঞ্চল। আন্দারাবের হাজার হাজার নারী ও শিশু পাহাড়ে পালিয়ে গেছে।
‘গত দুই দিন আন্দারাবের শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের অপহরণ করে তালেবান। উপত্যকায় চলাচল বা বাড়িঘরে তল্লাশি চালাতে অপহৃতদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে তালেবান যোদ্ধারা।’
এর আগে রোববার পাঞ্জশির উপত্যকায় না ঢুকতে তালেবানকে সতর্ক করেন সালেহ।
ওই দিন টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আন্দারাব উপত্যকায় প্রতিরোধের মুখে পড়ে পার্শ্ববর্তী পাঞ্জশিরের প্রবেশপথে তালেবান তাদের যোদ্ধাদের জড়ো করেছে।
‘প্রতিরোধ বাহিনী এরই মধ্যে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সংযোগকারী সালাং মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছে।’
এদিকে জাতিসংঘের সহায়তাদানকারী সংস্থাগুলো সতর্ক করে জানিয়েছে, জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী আফগানিস্তানে পাঠাতে পারছে না তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক রিচার্ড ব্রেনান জানান, ৫০০ টনের মতো চিকিৎসাসামগ্রী চলতি সপ্তাহে আফগানিস্তানে পাঠানোর কথা ছিল। সেগুলো দেশটিতে পাঠানো যাচ্ছে না।