আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়া তালেবানকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে চীন।
বেইজিং বলছে, যুদ্ধে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান গঠনে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়েং ওয়েনবিন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আফগানিস্তান সংকটের মূলে যুক্তরাষ্ট্র। তাই আফগানিস্তান পুনর্গঠনে সহায়তা না করে দেশটি ছেড়ে যেতে পারে না ওয়াশিংটন।
আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯ বিলিয়ন (৯০০ কোটি) ডলার। তার মধ্যে ৭ বিলিয়ন (৭০০ কোটি) ডলার রয়েছে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে।
বাইডেন প্রশাসন এরই মধ্যে সে অর্থ আটকে দিয়েছে। এ অবস্থায় চীনের ভূমিকা তালেবানকে সাহস জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়েং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি যুক্তরাষ্ট্র তাদের কথার সঙ্গে কাজে মিল রাখবে। আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেয়া ও দেশ পুনর্গঠনে দেখা যাবে ওয়াশিংটনকে।
‘আফগানিস্তান প্রশ্নে বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনীতিতে আস্থা রাখছে বেইজিং। দেশটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকায় দেখা যাবে চীনকে।’
আফগানিস্তানে চীনের নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় বেইজিং কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ওয়েনবিনের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে তিনি জানান, আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সেনা প্রত্যাহার শুরু করলেও আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অর্থ তালেবানের হাত থেকে রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ওয়াশিংটন।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের মুখে কাবুলে ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়া কওমি মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে চুক্তিতে আসে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে।
কাবুল দখলের আগে তালেবান চীনের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছে। সেখানে এক পক্ষ আরেক পক্ষের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল।
তালেবানের বিরোধিতা করছে না রাশিয়াও; বরং মস্কো থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, তালেবানই দেশটির জন্য ভালো বলে তারা মনে করছে।
অবশ্য জার্মানি জানিয়ে গিয়েছে, শরিয়া আইনে দেশ চালালে আফগানিস্তানে তারা সহায়তা বন্ধ করে দেবে। পশ্চিমা আরও দেশ অর্থ সহায়তা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।