হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাখিবন্ধন উৎসব শুধু ভাইবোনের স্নেহের বন্ধনেই এখন সীমিত নেই, হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে বার্তা দেয়ার হাতিয়ারও।
রাখিবন্ধন উৎসব উপলক্ষে রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বন দপ্তরের উদ্যোগে সুন্দরীগাছে রাখি পরান পরিবেশবাদীরা। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের অস্তিত্ব রক্ষার বার্তা দেয়া হয় অভিনব এ পন্থায়।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলের সুরক্ষায় সুন্দরবনের ভূমিকা অপরিসীম। অঞ্চলটিতে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে আগেই ‘সেভ ম্যানগ্রোভ’ কর্মসূচি নেয় রাজ্য বন দপ্তর, যার ধারাবাহিকতায় হয় গাছকে রাখি পরানোর আয়োজন।
পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘বন দপ্তরের পক্ষ থেকে নাগরিকদের সচেতনতা বাড়াতে রাখিবন্ধন উৎসবে ম্যানগ্রোভের গাছে রাখি পরানোর আয়োজন করা হয়। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্প্রীতি গড়ে তুলতে হয় এ আয়োজন।’
সম্প্রতি ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে সময় বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রকৃতি সহায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সে কথা মাথায় রেখে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে রাজ্য বন দপ্তর স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে বৃক্ষরোপণ শুরু করেছে সুন্দরবনে।
এ প্রকল্পের আওতায় উত্তর ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরের ৫১০ একর জমিতে সুন্দরীগাছ লাগানো হবে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে, লোনা জলের অরণ্য। আর সুন্দরবন প্রকৃতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে।
সুন্দরবনের সুন্দরীগাছ নষ্ট হলে শুধু সুন্দরবন নয়, বিস্তীর্ণ এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই সুন্দরীগাছকে রাখি পরিয়ে নাগরিকদের কাছে পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা বন দপ্তরের।