বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়তি সময় নিলে মারাত্মক পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি তালেবানের

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৩১

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির সাত দেশের জোট জি-সেভেনের জরুরি বৈঠকে মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তারিখ পেছাতে চাপ দিতে পারেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

৩১ আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান ছাড়তে হবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সেনাদের। কোনোভাবেই তাদের বাড়তি সময় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের শাসকদল তালেবান।

তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীনের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই সেনা প্রত্যাহারের তারিখ বদলে ৩১ আগস্ট করেছিলেন।

সে তারিখ পেছানোর অর্থ হলো আফগানিস্তানে বিদেশি দখলদারিত্বের সময় বাড়ানো। এমনটা ঘটলে পশ্চিমাদের মারাত্মক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলেও সতর্ক করেছেন শাহীন।

আফগানিস্তানের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তালেবান গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকেই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ।

তাদের সঙ্গে যেকোনোভাবে বিমানে উঠতে মরিয়া হাজারো আফগান পরিবার। তালেবানের বন্দুক আর চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে তারা। এ অবস্থায় বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।

নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ ধরে কেবল সামরিক ফ্লাইট ওঠানামা করছে বিমানবন্দরটিতে। কবে নাগাদ বাণিজ্যিক বিমান চলাচল শুরু হবে, তা অস্পষ্ট।

বিমানবন্দর সুরক্ষিত রাখতে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই অভিজাত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ছয় হাজার সেনা সেখানে মোতায়েন আছে। উপস্থিত আছে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের আরও কয়েক শ সেনা। তার পরও প্রচণ্ড ভিড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি পুরো এলাকায়।

এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের হাজারো নাগরিককে কাবুল বিমানবন্দর হয়ে নিরাপদে দেশে ফেরাতে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত তারিখ পেছাতে চায় পশ্চিমা দেশগুলো।

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির সাত দেশের জোট জি-সেভেনের জরুরি বৈঠকে মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তারিখ পেছাতে চাপ দিতে পারেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

দুই দশক আগে প্রথম দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ ছিল ধর্মভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের বিরুদ্ধে। দেশ দখলের পর সুন্নি মুসলিম সংগঠনটি আবারও কঠোর শরিয়াহ আইন চালু করতে পারে বলে শঙ্কা ঘনিয়ে উঠছে।

এ বিভাগের আরো খবর