বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সিপিএমের হেল্পডেস্ক

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৭:২২

এবার মাঠে নেমে তৃণমূল সরকারের প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষকে পাইয়ে দিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে সিপিএম। এ ঘটনা সিপিএম ও তৃণমূলের কাছাকাছি আসার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য সুকুমার আচার্য বলেন, আমরা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা বরাবরের মতো পালন করি।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পের সাহায্য আমজনতার হাতে তুলে দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার চালু করেছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। আর সেই কাজে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হেল্পডেস্ক চালু করে এগিয়ে এসেছে রাজ্যের বামপন্থি দল সিপিএম।

শনিবার এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল পশ্চিম মেদিনীপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ১৬ আগস্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় দ্বিতীয় দফায় চালু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের শিবির। সরকারি সাহায্য পেতে লাইনে উপচে পড়ছে নারীদের ভিড়। এমন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছে সিপিএম।

পশ্চিম মেদিনীপুর শহরের কর্নেল গোলার শ্রী নারায়ণ বালিকা বিদ্যাভবনের ভিতরে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কর্মসূচি। উল্টোদিকে সিপিএম পার্টি অফিসের বাইরে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হেল্পডেস্ক খুলে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করতে নারীদের সাহায্য করেন সিপিএমের নেতাকর্মীরা।

এবার মাঠে নেমে তৃণমূল সরকারের প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষকে পাইয়ে দিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে সিপিএম। এ ঘটনা সিপিএম ও তৃণমূলের কাছাকাছি আসার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য সুকুমার আচার্য বলেন, ‘আমরা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা বরাবরের মতো পালন করি। এবারও সরকারের ভালো কাজ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। তবে রাজ্য সরকারের উচিত ব্লকে ব্লকে শিবির তৈরি করা। তাহলে এত ভিড় হতো না। দায়িত্বশীল বিরোধীদল হিসেবে সরকারের জনমুখী কাজে প্রশাসনকে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে থাকতে এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।’

জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান দীনেন রায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘এই ধরনের উদ্যোগ খুব ভালো। মানুষের পাশে থাকার কথা সবাই বলে। কিন্তু বাস্তবে খুব কম লোকই তা করেন। সিপিএম এই ধরনের কাজ করছে, ওদের ধন্যবাদ।’

বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি সৌমেন তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া, ‘তৃণমূল, সিপিএম দুই দলই এখন, একই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। সিপিএমকে মানুষ বর্জন করেছে। তাই তারা কোথাও নেই।’

২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে যাওয়া সিপিএম, বিতর্ক সরিয়ে রেখে, সারা দেশে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখে দিতে, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি নেই বলে নানাভাবে বার্তা দিয়েছে বামপন্থি দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব।

এ বিভাগের আরো খবর