আফগানিস্তানে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ নতুন সরকার গঠনে রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদর।
শনিবার তিনি রাজধানী শহরে পৌঁছান বলে জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
তালেবানের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আফগানিস্তানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে জিহাদি নেতা ও রাজনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বারাদর।’
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার কাতার থেকে কান্দাহারে পৌঁছান বারাদর।
দীর্ঘ সময় পর বারাদরের দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তালেবান ঘোষণা করে, এবার তাদের শাসন ভিন্ন হবে।
২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচিতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন বারাদর। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ২০১৮ সালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মুক্তির পর থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত কাতারে অবস্থান করে তালেবানের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন বারাদর।
কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে একপর্যায়ে নিয়োগ পান তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা ও মূল নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের অন্যতম বিশ্বস্ত কমান্ডার বারাদর।
কাবুল দখলের পর বারাদর ছাড়াও খলিল হাক্কানিসহ তালেবানের অন্য নেতাদের শহরটিতে দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী তালিকায় হাক্কানির নাম রয়েছে। তালেবানের এই নেতার মাথার মূল্য ৫০ লাখ ডলার নির্ধারণ করে ওয়াশিংটন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তালেবানপন্থি পোস্টে দেখা যায়, নব্বইয়ের দশকের শুরুতে আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধে তালেবানের প্রতিদ্বন্দ্বী মুজাহিদীন নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করছেন হাক্কানি।
আফগান রাজনীতিতে গুলবুদ্দিনকে এখনও বেশ প্রভাবশালী বলে ধারণা করা হয়।
তালেবানের উপনেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানির চাচা খলিল হাক্কানিকে শুক্রবার কাবুলের এক মসজিদে নামাজের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।