বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চরম বিশৃঙ্খলা কাবুল বিমানবন্দরে

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২১ ১৩:১৮

নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির কারণে ৬৫৬ ফুট দূরের হোটেল থেকেও বিমানবন্দরে নিজ ব্যবস্থায় আসার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল না। ফলে বৃহস্পতিবার দেড় শতাধিক আমেরিকান নাগরিককে উদ্ধারে সামরিক হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিতে হয় পেন্টাগনকে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর গত এক সপ্তাহ ধরেই এমন হাল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির কারণে মাত্র ২০০ মিটার দূরের একটি ভবন থেকেও আমেরিকানদের বিমানবন্দরে নিতে ব্যবহার করতে হয়েছে তিনটি সামরিক হেলিকপ্টার।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন শুক্রবার জানায়, ভবনটি থেকে তিনটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ১৬৯ জন আমেরিকানকে বিমানবন্দরে নিয়ে যায় সেনারা।

পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, ৬৫৬ ফুট দূরের হোটেল থেকেও বিমানবন্দরে নিজ ব্যবস্থায় আসার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল না। ফলে বৃহস্পতিবার দেড় শতাধিক আমেরিকান নাগরিককে উদ্ধারে সামরিক হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

আফগানিস্তানের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তালেবান গত রোববার রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকেই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ।

তাদের সঙ্গে যেকোনোভাবে বিমানে উঠতে মরিয়া হাজারো আফগান পরিবার। তালেবানের বন্দুক আর চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন হাজারো আফগান। পাসপোর্ট, শিশু সন্তান আর পরনের পোশাক নিয়েই ঘর ছেড়ে বিমানবন্দরমুখী তারা।

এমন পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর এলাকায় গত ছয় দিনে কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট ন্যাটো।

পেন্টাগনের পাঠানো ছয় হাজার সেনার প্রহরায় কাবুল বিমানবন্দর থেকে গত ছয় দিনে ১৩ হাজার মানুষকে সরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে বিমানবন্দর হয়ে আফগানিস্তান ছেড়েছে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। ইতিহাসের অন্যতম বড় ও সবচেয়ে কঠিন উদ্ধারকাজ এটি।

উদ্ধারকৃতদের প্রাথমিকভাবে কাতারের একটি ঘাঁটিতে নিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে কাতারের ঘাঁটিটিতে নতুন করে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে শুক্রবার কাবুল থেকে নতুন করে কাউকে পাঠানোও সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় ফ্লাইটের ওঠানামা।

বিমানবন্দর থেকে এই গণঅপসারণ এযাবৎকালের অন্যতম ‘জটিল এয়ারলিফট অপারেশন’ বলে শুক্রবার মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আকাশপথে দ্রুততম সময়ে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে অপসারণের এ অভিযানে প্রাণহানির ঝুঁকি রয়েছে এবং চূড়ান্ত ফলাফল অনিশ্চিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর