গত রোববার কাবুল পতনের পর থেকেই একাধিক প্রদেশে মানুষ হত্যা শুরু করে তালেবান যোদ্ধারা।
শুক্রবার তালেবানের এমন হিংস্রতা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি এদিন টুইট বার্তায় সাফ জানিয়েছেন, ‘হিংস্রতা দিয়ে স্থাপিত শাসন কখনও বেশিদিন টিকে না। সন্ত্রাস আর আতঙ্ক দিয়ে যে শাসনের শুরু হয়, তার স্থায়িত্ব অনেক কম।’
কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দিল্লি নিজের জায়গা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তালেবান শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যেই তালেবান-প্রশ্নে ভারতের অবস্থান নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার আবার চীনের সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা দিয়ে দিয়েছে তালেবানরা। তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উন্নতিতে চীনকে তারা আহ্বান করতে চায়। কারণ চীনের অর্থনীতি খুবই ভালো ও বিশাল। তাতে আফগানিস্তানের উন্নতি হবে। তার মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা।
এদিন গুজরাটেও একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তালেবানদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন তিনি। গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে একাধিক প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাম উল্লেখ না করেই তালেবানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ধর্মকে আদর্শ বানিয়ে রাজত্ব স্থাপন করে, তারা কিছু সময় আধিপত্য দেখালেও তারা কখনওই চিরস্থায়ী হয় না। কারণ মানবতাকে চিরকালের জন্য ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব নয়।’
সোমনাথ মন্দিরের উদাহরণ দিয়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বহুবার সোমনাথ মন্দিরকে ধ্বংস করা হয়েছে। মূর্তি ভাঙা, এমনকি মন্দিরের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই নতুন গৌরবে ফিরে এসেছে সোমনাথ মন্দির। এই মন্দিরের ইতিহাস আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগায়।’