বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থসংকটে পড়তে যাচ্ছে তালেবান

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৫০

আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা নেয়ার পর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তালেবানের যাত্রা যে খুব মধুর হবে না, তা এখনই কয়েকটি ঘটনায় দৃশ্যমান। আফগানিস্তানকে অর্থসহায়তা দিতে এরই মধ্যে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দুটি দেশ।

আফগানিস্তানের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরেই বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন দাতা দেশ দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যয় নির্বাহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে।

গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানের ক্ষমতার স্বাদ থেকে বঞ্চিত তালেবান। তাতে যে অর্থনৈতিকভাবে সংগঠনটির অবস্থা করুণ হয়ে পড়ে, তা কিন্তু নয়।

২০১৬ সালে বিশ্বের সম্পদশালী সন্ত্রাসী সংগঠন নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বস ম্যাগাজিন।

ওই তালিকায় ৫ নম্বরে ছিল তালেবান। আফিম ও হেরোইন উৎপাদন এবং পাচার তালেবানের আয়ের প্রধান উৎস। এ ছাড়া রয়েছে চাঁদাবাজি ও অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়।

বিশ্বের ৮০ শতাংশ আফিম আফগানিস্তানে উৎপাদন হয়।

রোববার কাবুল দখলের মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান।

ক্ষমতা দখলের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হেরোইন উৎপাদন বন্ধের অঙ্গীকার করে তালেবান।

তবে অতি মুনাফার এই খাত থেকে সংগঠনটি আসলেই সরে আসতে পারবে কি না, তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই সন্দেহ পোষণ করেছেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা নেয়ার পর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তালেবানের যাত্রা যে খুব মধুর হবে না, তা এখনই কয়েকটি ঘটনায় দৃশ্যমান।

আফগানিস্তানকে অর্থসহায়তা দিতে এরই মধ্যে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দুটি দেশ।

এ ছাড়া আফগানিস্তানের ফান্ডের প্রবেশাধিকার স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

তালেবান যতদিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না, ততদিন সংগঠনটির পক্ষে বৈদেশিক অর্থসাহায্য পাওয়া দুরূহ হতে পারে।

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় গেলে ও শরিয়াহ আইন চালু করলে কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা দেবে না বলে সপ্তাহখানেক আগে জানিয়েছিল জার্মানি

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তানকে প্রতিবছর আমরা ৫০৫ মিলিয়ন ডলার দিই।

‘দেশটিতে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে শরিয়াহ আইন ফের কায়েম হলে জার্মানি আর এক পয়সাও আফগানিস্তানকে দেবে না।’

জার্মানির মতো ইউরোপের আরেক দেশ ফিনল্যান্ডও আফগানিস্তানে অর্থসহায়তার বিষয়ে অনীহা দেখিয়েছে।

দেশটি জানিয়েছে, তালেবান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করায় আফগানিস্তানকে উন্নয়ন সহায়তা দেয়া স্থগিত করা হবে।

ফিনল্যান্ডের উন্নয়ন সহযোগিতামন্ত্রী ভিল স্কিন্যারি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আমরা নজরে রাখছি। আফগান নারী, শিশু, সাংবাদিক, চিকিৎসক বা মানবাধিকার যোদ্ধাদের ছেড়ে যাচ্ছি না আমরা।’

তিনি বলেন, ‘অংশীদাররা মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাচ্ছে কি না, এটা আমরা দেখতে চাই। আমরা যা অর্জন করেছি, সেসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত আমাদের লক্ষ্য।’

এদিকে আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঋণদাতার সম্পদের ওপর অধিকার আর থাকছে না আফগানিস্তানের।

আইএমএফের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আফগানিস্তান সরকারের স্বীকৃতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বচ্ছতার অভাব দেখা দেয়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইএমএফ বরাবরই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামতকে প্রাধান্য দেয়।’

২৩ আগস্ট আইএমএফ থেকে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণসহায়তা আফগানিস্তানের পাওয়ার কথা ছিল।

এ তহবিল অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের বৈশ্বিক পদক্ষেপের অংশ।

এদিকে নিজেদের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা থাকা আফগানিস্তানের বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা আফগানিস্তানের কোনো সম্পদই তালেবানের হাতে যেতে দেয়া হবে না।

এ বিভাগের আরো খবর