বেশ কয়েকটি সামরিক ফ্লাইটে গত তিন দিনে আফগানিস্তান ছেড়েছে কূটনীতিকসহ দুই হাজার দুই শর বেশি মানুষ।
পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের মধ্যে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, বিদেশি নিরাপত্তাকর্মী ও দূতাবাসে কাজ করা আফগান নাগরিকরা রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বুধবার বলেন, ‘খুব দ্রুতগতিতে কাজ করছি আমরা। নিরাপদে মানুষজনকে আফগানিস্তান থেকে বের করে আনার কাজে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বাধার মুখে পড়িনি।’
আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন আফগান নাগরিক, তা জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সি-সেভেনটিন সামরিক কার্গো বিমানের মেঝেতে গাদাগাদি করে বসে দেশ ছেড়ে যাওয়া ৬৪০ বেসামরিক আফগান এ সংখ্যায় অন্তর্ভুক্ত কি না, তাও স্পষ্ট করা হয়নি। এদের মধ্যে অনেক নারী, শিশুও ছিল।
কাবুল বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আফগানিস্তানের বেসামরিক সরকারকে রোববার ক্ষমতাচ্যুত করে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। এরপরই দেশ ছাড়তে মরিয়া বিপুলসংখ্যক আফগান পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিড় করে বিমানবন্দরে।
তাদের ঠেকাতে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। সেদিকে যাওয়া বেসামরিক আফগানদের ধরে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে বলে জানানো হয় দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে।
তালেবান জানিয়েছে, তারা শান্তি চায়। পুরোনো শত্রু বা ভিন্ন মতাদর্শীদের ওপর প্রতিশোধ নেবে না তারা। ইসলামের বিধান মেনে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করবে।
তালেবানের এসব আশ্বাসেও স্বস্তি পায়নি আফগান জনতার বড় অংশ। বিশেষ করে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের সেনাদের সহযোগিতা করা আফগানরা আছেন সবচেয়ে ভয়ে।
এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে কাবুল থেকে নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ। তাদের সঙ্গে যেকোনোভাবে বিমানে উঠতে মরিয়া হাজারো আফগান পরিবার।