আফগানিস্তানে তালেবান আগ্রাসন নিয়ে ভারত সরকারের ধীরে চলো অবস্থানের সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অন্যতম বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের দৈনিক মুখপত্র জাগো বাংলায় দলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তালেবান ইস্যুতে কেবলমাত্র রুটিন বিবৃতি দিয়েই কি থেমে থাকবে ভারত? তালেবান ইস্যুতে কেন্দ্রের (বিজেপি) আরও সক্রিয় হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল।
তালেবান ইস্যুতে প্রথম বিরোধী দল হিসেবে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে, জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘ভারত সরকার কেন রুটিন বিবৃতি দিয়ে থেমে যাবে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আওয়াজ তুলুক ভারত, এত অস্ত্র তালেবানরা পাচ্ছে কি করে? আধুনিক সমরাস্ত্র তো তারা তৈরি করছে না। সেই অস্ত্রভান্ডার কি করে তালেবানদের হাতে যাচ্ছে?’
জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘এখন থেকে যদি এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান ভারত না নেয়, প্রশ্ন না তোলে, বিশ্বের দরবারে চাপ না বাড়ায়, তাহলে ভবিষ্যতে তালেবানদের শাখা-প্রশাখা আমাদের ভূখণ্ডে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টায় চক্রান্ত শুরু করবেই।’
তালেবান আগ্রাসনের প্রশ্নে, তৃণমূল কংগ্রেস অন্যতম বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেশের সামনে তুলে ধরতে চাইছে।
আফগানিস্তানে ফের দুই দশক আগের সেই অরাজকতা, আতঙ্ক আর অন্ধকারের দিন ফিরছে। সে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও দেশ ছাড়তে পিছপা হচ্ছে না। সে দৃশ্য, বিশ্ব দেখছে। আবার তালেবানকে উল্টো সমর্থনও দিয়েছে বিশ্বের কিছু দেশ।
এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রতি কেন্দ্রের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে বুঝিয়ে, ভারত সরকার আফগান শরণার্থীদের জন্য কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো সে বিষয়ে সহমত পোষণ করে না।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় যেমন বললেন, ‘আফগানিস্তান থেকে যে সমস্ত শরণার্থী ভারতে আসছেন, তাদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে ভারতকে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা রাতারাতি দরজা খুলে দিতে পারিনা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলো তালেবানদের থেকে উৎসাহ পেতে পারে।’