তুরস্কের কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। নিখোঁজ ৪৭ জন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান চলছে। এ ছাড়া বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার ও সহযোগিতা দিতে কাজ করছে প্রায় আট হাজার কর্মকর্তা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০টি কুকুরও যোগ দিয়েছে উদ্ধারকাজে।
কাস্তামোনু, সিনোপ ও বার্তিন প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল গত বৃহস্পতিবারের আকস্মিক বন্যায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বিধ্বস্ত হয় বাড়িঘরসহ শত শত স্থাপনা, ভেঙে পড়ে সেতু ও সড়ক। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে শতাধিক গ্রামে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, শুধু কাস্তামোনু প্রদেশে প্রাণ গেছে ৬০ জনের। সিনোপে এ সংখ্যা নয়, বার্তিনে এক। নিখোঁজ ব্যক্তিরা সবাই কাস্তামোনু ও সিনোপের বাসিন্দা।
ড্রোন থেকে নেয়া ফুটেজে দেখা গেছে, কাস্তামোনুর বোজকুর্ত শহর নারকীয় রূপ নিয়েছে বন্যায়। ভবনের ধ্বংসস্তূপে মানুষের সন্ধান করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো থেকে দুই হাজারের বেশি মানুষকে হেলিকপ্টার ও নৌকায় করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
অতিবৃষ্টির কারণে অঞ্চলটিতে আরও বন্যার আভাস দিয়েছে তুরস্কের আবহাওয়া বিভাগ।
দেশের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল আর দাবদাহের বিপর্যয় কাটতে না কাটতেই বন্যার কবলে তুরস্কের পূর্বের কৃষ্ণ সাগর উপকূল।
সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার সাক্ষী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল। ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল, এশিয়ার চীন, ভারত, আফগানিস্তান, আফ্রিকার নাইজারে বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দাবদাহ ও দাবানলে বিপর্যস্ত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ।
অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরাসহ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতাকে দায়ী করেছেন পরিবেশবিদরা। কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর কারণে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা।