আফগানিস্তানে কারাবন্দি চার বাংলাদেশির তিনজন মুক্তি পেয়েছেন। তবে অপরজনের এখনও কোন সন্ধান মেলেনি।
উজবেকিস্কানের রাজধানী তাসখন্দ থেকে কাবুলের দায়িত্ব পালন করা রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম রোববার মধ্যরাতে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই তালেবানরা একের পর এক জেলের দরজা খুলে দিচ্ছে। এতে তিন বাংলাদেশি জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। তারা কাবুলের সেন্ট্রাল জেল পুল ই চরখিতে বন্দি ছিলেন।
‘অবৈধপন্থায় ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা এবং তালেবানদের সহায়তা’র অভিযোগে আটক ওই চার বাংলাদেশির বিষয়ে তথ্য পাওয়া এবং তাদের মুক্ত করতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাসখন্দে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকসহ নানামুখী কূটনৈতিক তৎপরতা চলছিল।’
মুক্ত হওয়া ৩ বাংলাদেশি হলেন খুলনার দৌলতপুর উপজেলার মঈন আল মেজবাহ, রাজধানীর মিরপুরের (ভাষানটেক) কাওসার সুলতানা এবং ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উবাইদুল্লাহ হারুন।
জেলে থাকা অপর বাংলাদেশি সিরাজ আবদুস সাত্তারের কোনো হদিস পাননি তাসখন্দের বাংলাদেশ দূতাবাস। তার বাংলাদেশের ঠিকানা সম্পর্কে ও ধারনা নেই দূতাবাসের। দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিরা ভালো আছেন এবং নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
এখন পর্যন্ত কোন হতাহত বা আক্রান্তের সন্ধান নেই। তবে ব্র্যাকের ছয় কর্মীকে সেখানে দ্রুত পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। রাষ্ট্রদূত জানান, তারা বর্তমানে কাবুলে ব্র্যাকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের বাসভবনে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। যদিও আমেরিকান বংশোদ্ভূত কান্ট্রি ডিরেক্টর আগেই নিরাপদে কাবুল ছেড়ে গেছেন। ব্র্যাকের ওই ৬ কর্মকর্তা হলেন ঢাকার বাসিন্দা মো. করিম শিকদার ও মোহাম্মদ সরফরাজ, রংপুরের মো আসাদুজ্জামান, যশোরের মো. কামাল হোসেন, ফরিদপুরের রফিকুল হক মৃধা এবং নোয়াখালীর মো. ইউসুফ হোসেন।