বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাউকে ক্ষমতার ভাগ দেবে না তালেবান

  •    
  • ১৫ আগস্ট, ২০২১ ২৩:৩৫

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের পর তালেবানের দুই নেতার বরাতে রয়টার্স জানায়, কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়, সরাসরি ক্ষমতা বুঝে নিতে প্রস্তুত তালেবান।

কাবুল দখলের আগে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবে তালেবান যোদ্ধারা সম্মতি জানালেও, রাজধানী দখলের পর ইউটার্ন নিয়েছে তারা। এখন বলছে, পুরো ক্ষমতা চাই তাদের।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের পর তালেবানের দুই নেতার বরাতে রয়টার্স জানায়, কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়, সরাসরি ক্ষমতা বুঝে নিতে প্রস্তুত তালেবান।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি রোববার সন্ধ্যার দিকে কাবুল ছেড়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নিয়ে এ দাবি করছে তালেবান যোদ্ধারা।

এর আগে, দেশটির ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা। এতে সম্মতি রয়েছে তালেবান নেতাদেরও।

আফগানিস্তানের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আহমাদ জিলালিকে সেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

তবে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির দেশত্যাগ করলে সব হিসাব পাল্টে যায়।

তালেবানের এক প্রতিনিধিদল আফগানিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করতে কাতারের রাজধানী দোহায় রওনা দেবে বলে জানা গেছে।

গত এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই ঘোষণার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে তালেবান নেতারা। পরের মাস মে থেকেই শুরু করে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা।

অল্প কিছু দিনের মধ্যে দেশটির বেশির ভাগ প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। রোববার সকালের দিকে রাজধানী কাবুলের বাইরে অবস্থান নেয়। সূর্য ডুবতেই রাজধানীর ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা, নিয়ন্ত্রণে নেয় প্রেসিডেন্ট বাসভবনের।

ক্ষমতা হারানোর দুই দশক পর কাবুল দখল করে জয়জয়কার অবস্থা তালেবানের। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করা তাদের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার।

নিরাপত্তা বিবেচনায় আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এমন পরিস্থিতে চরম মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা করছে জাতিসংঘ।

তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে প্রবেশের পর সেখানকার পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেখানকার দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘বিমানবন্দরসহ কাবুলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। বিমানবন্দরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার খবরও এসেছে। এমন অবস্থায় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের যথাযথ জায়গায় আশ্রয় নেয়ার নির্দেশনা দিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর