আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
সশস্ত্র গোষ্ঠীটির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বিবিসি জানিয়েছিল, চার দিক থেকে কাবুলে ঢুকছে তালেবান।
সংবাদমাধ্যমটির সবশেষ আপডেটে তালেবানের একটি বিবৃতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে তালেবান বলেছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে যোদ্ধাদের রাজধানীর প্রবেশ পয়েন্টগুলোতে থাকতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজধানী শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরে আলোচনা চলছে।
এর আগে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালেবানের কাবুলে প্রবেশের কথা জানিয়েছিল।
আল জাজিরা বলছে, দেশটির অন্যতম শহর জালালাবাদ দখলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাবুলে প্রবেশ করতে শুরু করে তালেবান যোদ্ধারা।
এক দশকের বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে কাজ করা বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদি হাকিম জানান, কাবুলে প্রবেশ করতে তালেবানদের কোনো ধরনের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়নি।
There seems to be no battle for Kabul #Afghanistan
— Yalda Hakim (@BBCYaldaHakim) August 15, 2021সরকার বলছে পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’
আফগান প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে পোস্ট করা এক টুইট করে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে চাইছে। যদিও কাবুলে তালেবানরা প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তারপরও সরকার বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পশতু ভাষায় দেয়া পোস্টে বলা হয়, ‘কাবুলে বিক্ষিপ্ত গুলির ঘটনা ঘটেছে, তবে কোনো হামলা হয়নি। দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রতিরক্ষা বাহিনী শহরের নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
কাবুল ছাড়ার হিড়িক, নেই বিমানে জায়গা
আফগানিস্তানের এক সংসদ সদস্য বলছেন, মানুষে যে যেভাবে পারছেন কাবুল ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারা চেষ্টা করছেন কাবুল ছাড়ার।
ফারজানা কোচাই নামের ওই এমপি বলেন, ‘আমি জানি না, তারা কোথাও যেতে পারছে না, কোথাও যাওয়ার অবস্থা নেই। আজ কাবুল থেকে সেব বিমান উড়েছে সবই পরিপূর্ণ ছিল। আমি আমার বন্ধুদের মাধ্যমে খবর নিয়েছি, যারা কাবুলের বাইরে যাচ্ছেন তাদের অনেকেই প্রতিবেশী ভারত ও অন্য দেশে যাচ্ছেন।’
‘তারা বলছেন, প্রতিটি ফ্লাইট পরিপূর্ণ এবং তারা সেখানে আটকে আছে। যারা যাচ্ছেন, তারা আসলে কোথায় যাবে? তাদের কোনো পছন্দ করার সুযোগ নেই, যেখানেই পারছে যাচ্ছে।’
ওই নারী সাংসদ বলেন, ‘দেশের অন্য যেসব এলাকা তালেবান দখল করেছে, সেখানে কোনো নারী বাইরে বা স্কুলে যেতে পারছেন না বলে আমাকে জানিয়েছে।’
‘নারীদের জন্য যতোটা প্রত্যাশিত ছিল, পরিস্থিতি তার চেয়ে বেশি খারাপ। নারীরা তাদের বাড়িতেই হাজত বাস করছে, তাহলে বুঝুন কি হচ্ছে। এখন, হ্যাঁ এখন পরিস্থিতি আসলেও বদলে গেছে।’