যুক্তরাজ্য সরকার আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য যে শিক্ষাবৃত্তি দেয় সেটি আপাতত স্থগিত করেছে দেশটি।
আগামী মাস থেকে দেশটিতে নতুন সেশনে শিক্ষাবৃত্তিতে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল অনেক আফগান শিক্ষার্থীর।
বিবিসির খবরে বলা হয়, চেভেনিং শিক্ষাবৃত্তি সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেয়।
পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, আফগানিস্তানের যে পরিস্থিতি তাতে সেখানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাস কাগজপত্র তৈরির কাজটি চলতি বছর করতে সক্ষম হবে না।
দেশটির হঠাৎ নেয়া এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্যের সাবেক দুজন সংসদ সদস্য।
চেভেনিং শিক্ষাবৃত্তির পুরো ব্যবস্থা করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট দপ্তর। এটি সম্মানসূচক ও খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ একটি বৃত্তি।
তবে আফগানিস্তানের যেসব শিক্ষার্থী চলতি বছর বৃত্তিটি পেয়েছেন তাদের অনেকেই বলছেন, তারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দূতাবাসে গিয়ে কাগজপত্র প্রস্তুত করতে পারছেন না।
এক শিক্ষার্থী বলেন, চলতি বছর প্রোগ্রামটির ৩৫ জন শিক্ষার্থী এই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন, যার অর্ধেকই নারী।
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলই দখল করে দিয়েছে তালেবান সশস্ত্র গোষ্ঠী।
রাজধানী কাবুল ছাড়া দেশটির বেশিরভাগ প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিয়েছে তালেবান। অবস্থা এখন এমন একটা পর্যায়ে রয়েছে যে, কাবুল দখল করে দেশটির ক্ষমতা নেয়া এখন তালেবানের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এমন সময় যুক্তরাজ্যের এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে বিষয়টিকে দেশটির ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত বলে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ দলের সাবেক এমপি ডেভিড লিডিংটন টুইটারে বলেন, আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি স্থগিত করা নীতিগতভাবে ভুল, একই সঙ্গে এটি যুক্তরাজ্যের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত।