আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর ১৮টি মাত্র আট দিনে তালেবানের দখলে যাওয়ার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
জাতির উদ্দেশে শনিবার তিনি ভাষণ দেন বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ঘানি বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে ফের একত্রিত করা তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আফগানিস্তানজুড়ে তালেবান ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ঘরহারা হাজার হাজার মানুষকে সহায়তা করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন, ‘আফগান সরকারের প্রত্যেক কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
‘আলোচনা এখনও চলছে। আলোচনার ফল দ্রুতই জানানো হবে।’
শনিবারের সংক্ষিপ্ত ভাষণের আগে ঘানি ও তার সরকার দেশজুড়ে তালেবানের অগ্রযাত্রার বিষয়ে একেবারেই চুপ ছিলেন।
দুই দিন আগে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাত তালেবান দখলে নিয়ে নেয়। রাজধানী কাবুল দখল এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘানি আরও বলেন, ‘আমি জানি আপনারা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
‘দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা ও জনগণের বাস্তুচ্যুত হওয়া বন্ধে আমি জোর দেব।’
গত সপ্তাহ থেকে আফগানিস্তানের দক্ষিণ, উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে তালেবান।
এর আগে চলতি বছরের মে থেকে শুরু হওয়া হামলায় আফগানিস্তানের গ্রামাঞ্চলের বড় অংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগান সরকার উৎখাতে মরিয়া তালেবান। দেশজুড়ে সামরিক অভিযান চালিয়ে ২০ বছর পর রাষ্ট্রক্ষমতায় ফের বসতে চাইছে সংগঠনটি।
ঘানির ভাষণের দিনই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার সেনা কাবুলে পৌঁছায়।
যেকোনো মুহূর্তে কাবুল তালেবানের দখলে যেতে পারে- এই শঙ্কায় আফগানিস্তানে অবস্থানরত নিজেদের নাগরিকদের নিরাপদে দ্রুত দেশে ফেরাতে ওই সেনাদের পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।