বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানে শান্তি চায় ভারত

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৩৬

তালেবানের কাছে নতিস্বীকার করার কথা ভাবছে আফগান সরকার। ইতোমধ্যেই ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আসরাফ ঘানি সরকার। তবে জার্মানি, কাতার, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতও আফগানিস্তানে যুদ্ধ বিরতির কথাই বলছে। অবিলম্বে যাতে দেশটিতে শান্তি আসে, সেই বার্তাই দিয়েছে ভারত।

ক্রমশ কাবুলের দিকে এগিয়ে আসছে তালেবান। একের পর এক প্রদেশ তাদের দখলে চলে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের রাজধানীর মধ্যে ১২টি প্রদেশের রাজধানী দখল করেছে কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠীটি।

কাবুলের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তালেবান। এমনকি আফগান সরকার তালেবানের কাছে নতিস্বীকার করার কথাও ভাবছে। ইতোমধ্যেই ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আসরাফ ঘানি সরকার।

তবে জার্মানি, কাতার, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতও আফগানিস্তানে যুদ্ধ বিরতির কথাই বলছে। অবিলম্বে যাতে দেশটিতে শান্তি আসে, সেই বার্তাই দিয়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার দোহায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জেপি সিং। দোহায় একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তিনি। কাতারসহ একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। জানা গেছে, সেখানে আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক সাহায্য করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে জার্মানি, নরওয়ে, কাতার, তাজিকিস্তান, তুরষ্ক, তুর্কমেনিস্তানসহ ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৯ আগস্ট আর একটি বৈঠক হয়েছিল।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৯ আগস্ট প্রথম বৈঠকে চীন, উজবেকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, কাতার, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন।

দুটি আলাদা বৈঠকের পর শুক্রবার কাতারের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সম্মত হয়েছে যে, আফগান শান্তি প্রক্রিয়াকে ‘অতি জরুরি’ বিষয় হিসেবে ত্বরান্বিত করতে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা তালেবান এবং আফগান সরকারের প্রতি পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তোলার এবং যত দ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক সমঝোতা এবং ব্যাপক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা ছিলেন দুটি বৈঠকেই।

ইতোমধ্যেই তালেবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। কাতারের মাধ্যমে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আফগানিস্তানে তালেবান শাসন জারি হলে এক টাকাও আর্থিক সাহায্য করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে জার্মানি।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছেন, তালেবান যদি আফগানিস্তান দখলের পর সেখানে শরিয়া আইন জারি করে তাহলে এক পয়সাও দেবে না জার্মানি। দেশটি আফগানিস্থানে প্রতি বছর চার কোটি ৩০ লাখ ইউরো আর্থিক সাহায্য পাঠায়।

শনিবার সকালে কান্দাহারের রেডিও স্টেশন দখল নিয়ে তালেবানরা এর নাম দিয়েছে ভয়েস অফ শরিয়া।

সম্প্রতি পেন্টাগনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তালেবান যে হারে শক্তি প্রদর্শন করছে, তাতে ৯০ দিনের মধ্যেই আফগানিস্তান দখল করে নেবে তারা।

তবে আফগান বাহিনী বা যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা কল্পনাও করেনি তালেবানরা এত দ্রুত গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এদিকে আফগানিস্তান ও তালেবানদের সংঘর্ষের মধ্যেই আফগান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

তিনি বলেছেন, ‘যতদিন আসরাফ ঘানি দেশের প্রেসিডেন্ট থাকবেন, ততদিন বিরোধী সংগঠনগুলো আফগানিস্তান প্রশাসনের সঙ্গে কথাই বলবে না।’

তার দাবি, তালেবানরাই জানিয়েছে যে যতদিন আসরাফ ঘানি রয়েছেন, ততদিন ওরা কথা বলবে না।

এ বিভাগের আরো খবর