নিজেদের এক প্রতিবেদকের ভিসা নবায়ন না করার রাশিয়ার সিদ্ধান্তে নিন্দা জানিয়েছে বিবিসি। একে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবেও মন্তব্য করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
রাশিয়া থেকে বিবিসির প্রতিবেদক সারাহ রেইনসফোর্ডকে ‘বহিষ্কারের’ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে দেশটির কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের শেষের দিকে রেইনসফোর্ডের ভিসা শেষ হচ্ছে। ওই সময়ই তাকে রাশিয়া ছাড়তে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সংবাদকর্মীদের যুক্তরাজ্য ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর জবাবে রেইনসফোর্ডের ভিসা নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিল মস্কো।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, রাশিয়ার সংবাদকর্মীদের ভিসাসংক্রান্ত ‘নিপীড়নের’ জবাব দেয়া হবে বলে যুক্তরাজ্যকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রসিয়া-২৪ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সম্প্রচারমাধ্যম আরটি ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিকসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের আন্তর্জাতিক খবর করার অনুমতি দেয়নি যুক্তরাজ্য সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সারাহ রেইনসফোর্ড দেশে ফিরছেন। আমাদের বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, মস্কোর বিবিসি ব্যুরোর এই সংবাদকর্মীর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না।
‘সংবাদমাধ্যম পরিমণ্ডলে আমাদের সব সীমা অতিক্রম করেছে যুক্তরাজ্য। সারাহ রেইনসফোর্ডের অপসারণ তারই জবাব।’
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ড্যাভি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়া থেকে রেইনসফোর্ডের অপসারণ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সারাহ অসাধারণ ও নির্ভীক সাংবাদিক। রুশ ভাষায় দক্ষ এই সাংবাদিক রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন ঘটনার স্বাধীন ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে দক্ষতার পরিচয় দেন। সারাহর প্রতিবেদন বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বিবিসির লাখ লাখ দর্শককে সমৃদ্ধ করেছে।’
রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে দেশটির কর্তৃপক্ষের ‘আরেকটি অন্যায় পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার আগে কিউবা, তুরস্ক ও স্পেনে কাজ করেছিলেন রেইনসফোর্ড।