বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তুরস্কে আকস্মিক বন্যায় প্রাণ গেল ৩৮ জনের

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২১ ১২:১১

বন্যাদুর্গত এলাকায় আয়ানসিক স্টেট হাসপাতালে ভর্তি থাকা সব রোগীকে অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর অথবা নিজেদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বন্যাকবলিত প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হেলিকপ্টার ও নৌকায় করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।

তুরস্কের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৩৮ জনের। দুর্গত এলাকায় চলছে সন্ধান, উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহ অভিযান।

টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে জানানো হয়, কাস্তামোনু, সিনোপ ও বার্তিন প্রদেশের শতাধিক শহর ও গ্রাম বৃহস্পতিবার আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে যায়।

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোচা শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জানান, বন্যার পানি নেমে গেলেও রয়ে গেছে ধ্বংসযজ্ঞ। কাস্তামোনুতে ৩২ জন ও সিনোপে ছয় জনের প্রাণ গেছে এ দুর্যোগে। বার্তিনে নিখোঁজ এক জন।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, কাস্তামোনুর ১১২টি ও সিনোপের ৮৬টি গ্রাম বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। অঞ্চলটিতে সহায়তার জন্য ২৪ লাখ ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

তিনি বলেন, ‘যারা চলে গেছেন, তাদের আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না। কিন্তু অন্যান্য ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে ওঠার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। খুব শিগগিরই এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াব আমরা।’

সরকারি কোষাগারে কর জমা বিলম্বিত করে সে অর্থ ব্যবহারের মাধ্যমে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সরকারের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী। নামানো হয়েছে ১৯টি হেলিকপ্টার, ৬৬টি অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রায় দেড় হাজার যানবাহন। রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও উদ্ধারকর্মীসহ বিভিন্ন সহায়তা পাঠিয়েছে।

বন্যাদুর্গত এলাকায় আয়ানসিক স্টেট হাসপাতালে ভর্তি থাকা সব রোগীকে অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর অথবা নিজেদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

বন্যাকবলিত প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হেলিকপ্টার ও নৌকায় করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।

তুরস্কের কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চল অতি বৃষ্টি ও বন্যাপ্রবণ। আরও কয়েক দিন অঞ্চলটিতে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

আরও আকস্মিক বন্যার সতর্কতাও জারি করেছে প্রশাসন।

সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার সাক্ষী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল। ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল, এশিয়ার চীন, ভারত, আফগানিস্তান, আফ্রিকার নাইজারে বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দাবদাহ ও দাবানলে বিপর্যস্ত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ।

অতি বৃষ্টি, বন্যা, খরাসহ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতাকে দায়ী করেছেন পরিবেশবিদরা।

এ বিভাগের আরো খবর