আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য।
তালেবানের পুনরুত্থানে সন্ত্রাসবাদ আরও বিস্তার লাভ করে বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলবে বলেও সতর্ক করে দেশটি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস শুক্রবার এসব বার্তা দেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়ালেস জানান, আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ নাগরিকদের দেশে ফেরাতে প্রায় ছয় শ সেনা পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ টেলিভিশনকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এতে অনেক বড় সংকট সৃষ্টি হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ওই সিদ্ধান্তে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলায় জড়িত আল-কায়েদাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল তালেবান।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ালেস বলেন, ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আল-কায়েদা সম্ভবত ফিরে আসবে। এতে আমাদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ হুমকির মুখে পড়বে।’
আফগানিস্তানের মাটি থেকে বিদেশি সব সেনা প্রত্যাহার এবং বিনিময়ে আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোকে কোনো ধরনের আশ্রয় দেবে না তালেবান-এই শর্তে গত বছর কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
দোহা চুক্তি হিসেবে পরিচিত ওই চুক্তি সম্পর্কে ওয়ালেস বলেন, ‘আমি মনে করি, এভাবে চুক্তি করা ভুল ছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হিসেবে আমাদের সবাইকে এ জন্য ভুগতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সেনা প্রত্যাহার করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।’
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, আফগানিস্তানে পাঠানো ছয় শ সেনা তিন হাজার ব্রিটিশ নাগরিককে দেশে ফেরাতে সহযোগিতা করবে।
গত আট দিনে আফগানিস্তানের ১৮টি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করেছে তালেবান।
শুক্রবার দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ সোহেইল শাহীন দাবি করেন, আফগানিস্তানের ৯০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সংগঠনটি।