জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়া শুরু হলে ফের দেশটিতে সেনা পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এলবিসি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে শুক্রবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ালেস বলেন, ‘আফগানিস্তান যদি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদাকে আশ্রয় দেয়া শুরু করে এবং তা যদি পশ্চিমাদের জন্য হুমকি হয়, তাহলে যুক্তরাজ্য দেশটিতে ফিরতে পারে।’
আফগানিস্তানে যুক্তরাজ্য ফের সেনা পাঠাবে কি না জানতে চাইলে ওয়ালেস বলেন, ‘আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে ডেকে আনা হলে তারা যদি পশ্চিমাসহ অন্যান্য দেশে হামলা শুরু করে তাহলে আমরা ফের কাবুলে ফিরতে পারি।’
আফগানিস্তান ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে বলেও এদিন বিবিসিকে বলেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। ছবি: এএফপি
তালেবান কোনো একক সত্তা নয় বরং অসংখ্য বিপরীতমুখী স্বার্থের যোগফল- এই বিষয়টি পশ্চিমাদের বোঝার দরকার রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ওয়ালেস বলেন, ‘১৮৩০ সালের দিকেই যুক্তরাজ্য বুঝতে পেরেছিল, যুদ্ধবাজ এবং বিভিন্ন প্রদেশ ও গোষ্ঠী আফগানিস্তান চালায়।
‘আমি মনে করি, আমরা আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ দেখতে যাচ্ছি।’
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তালেবান পুরোপুরি একক কোনো সত্তা নয়। সংগঠনের ভেতরে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের বিপরীতমুখী স্বার্থ অনুযায়ীই তারা কাজ করে।’
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর লস্কর গাহ শুক্রবার দখল করে তালেবান।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার দেশটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাত দখলের দাবি করে সংগঠনটি।
এদিকে আফগানিস্তানের একের পর এক প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের নাগরিকদের দেশটি থেকে সরাতে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আফগানিস্তানে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেশে ফেরাতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অতিরিক্ত প্রায় তিন হাজার সেনা দেশটিতে পাঠানো হবে।
যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে, নিজেদের নাগরিক ও স্থানীয় দোভাষীদের আফগানিস্তান ছাড়তে প্রায় ৬০০ সেনা দেশটিতে পাঠানো হচ্ছে।