জরুরি প্রয়োজনে প্রতিদিন ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে তিনবার। সেটাও থাকে চরম নজরদারিতে। যদি তিনবারের বেশি হয় তবে তাদের ঘরে তুলে একেবারে তালা মেরে আটকে রাখা হচ্ছে।
এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, উইচ্যাটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলো চীনের বলে দাবি করা হচ্ছে।
চীন থেকেই ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু। এরপর দেশটিতে অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চীনে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়।
অবশ্য অল্প সময়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনে লকডাউন তুলে নেয় চীন। তবে দেড় বছরের বেশি পর এসে দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসটির ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, চলতি মাসে এক দিনে দেশটিতে সর্বোচ্চ শনাক্ত হলে নতুন করে লকডাউনে যায় চীন।
তাইওয়ান নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ঘটনাটি উহানে। সেখানে লকডাউন অমান্য করে নির্দিষ্ট সময়ের বেশিবার বাড়ির বাইরে যাওয়ায় লোহার বার দিয়ে এক্স আকৃতির করে আটকে দেয়া হচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, হ্যামার বা হাতুড়ি দিয়ে লোহা মেরে ঘরের দরজা আটকে দিচ্ছেন পিপিই পরা লোকজন।
এক টুইটার পোস্টে কেইনি এভারটন লেখেন, এক ব্যক্তি কোয়ারেন্টিন নিয়ম অমান্য করে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। তার ভাষায়, বিশুদ্ধ বাতাস খেতে বাইরে যান তিনি। আর সে কারণে তার বাড়িটি সিল করে দিয়েছে প্রশাসন।
চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ইউবোতে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। পরে সেটি টুইটার ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।
সে ভিডিওতে বলা হয়, মানুষকে নিশ্চিতভাবে বাড়ির ভেতর থাকতে হবে। যারা অধিকবার বাড়ির বাইরে যাবেন তাদের বাড়ি সিল করে দেয়া হবে।
ঘর সিল করে দেয়ার এমন একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর এক ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক নারীর সিল করা ঘরের ভেতর নেচে তা উদ্যাপন করছেন।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ৯ আগস্ট দেশটিতে নতুন করে ১৪৩ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে। এগুলো হয়েছে ১৭টি প্রদেশে। চলতি মাসের ২০ জানুয়ারির পর এটাই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ।
এসব সংক্রমণের বেশির ভাগই করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত।