করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বদলে স্যালাইন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জার্মানির এক নার্সের বিরুদ্ধে।
স্যালাইন পাওয়া ভুক্তভোগী সাড়ে আট হাজারের বেশি জার্মানকে প্রকৃত টিকা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় ফ্রিসল্যান্ড জেলা কর্তৃপক্ষ এ আহ্বান জানায় বলে বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে ফ্রিসল্যান্ডের রফহাউসেন টিকাদান কেন্দ্রে শুরুতে ছয়জনকে করোনা টিকার পরিবর্তে স্যালাইন দেয়া হয় বলে ধারণা করা হয়।
এপ্রিলে ওই নার্স ছয় ব্যক্তিকে স্যালাইন দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছিলেন, হাত থেকে টিকার একটি শিশি পড়ে যাওয়ায় স্যালাইন দেন তিনি।
তবে পুলিশের তদন্তে জানা যায়, কেবল ছয়জন নয়, ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা না দিয়ে আরও অনেককে স্যালাইন দেয়া হয়েছিল।
নার্সটির এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না জার্মান পুলিশ।
নার্সের আইনজীবীরা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। টিকার বদলে স্যালাইন পাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা নিয়েও তাদের দ্বিমত রয়েছে।
এ ঘটনায় আরও প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ফ্রিসল্যান্ড কর্তৃপক্ষের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রেড ক্রসে কর্মরত ওই নার্স প্রায় ৮ হাজার ৬০০ বাসিন্দাকে করোনা টিকা দেননি। তারা সম্ভবত স্যালাইন পেয়েছেন।
ফ্রিসল্যান্ড জেলা প্রশাসক এসভেন অ্যামব্রোসি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি হতবাক। ভুক্তভোগীদের দ্রুত টিকা দিতে জরুরি সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগেরই বয়স ৭০ বছরের বেশি।
স্যালাইন শরীরের জন্য ক্ষতিকর না হলেও রফহাউসেন টিকাকেন্দ্রে টিকার বদলে স্যালাইন পাওয়া সবাইকে ফের টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানির কর্মকর্তারা।
জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনডিআর জানায়, ৮ হাজার ৬০০ ব্যক্তির মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জন টিকা পেতে আবেদন করেছেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, ওই নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অভিযোগ ওঠা নার্সকে গ্রেপ্তার বা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবে কি না, তা জানা যায়নি।
গত মাসে ভারতে একই ধরনের টিকা কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে।
করোনা টিকা নিতে প্রায় চার হাজার ভারতীয় অর্থ দিয়েছিলেন। টিকার বদলে তাদেরও স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।