ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে চলতি বছরের মে মাসে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রকেট হামলা যুদ্ধাপরাধ ছিল বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ মন্তব্য করে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মে মাসে ইসরায়েল ও হামাসের টানা ১১ দিনের সংঘর্ষ তদন্ত শেষে সংস্থাটি প্রতিবেদনে জানায়, হামাসের হামলা যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করেছে।
এইচআরডব্লিউর পক্ষ থেকে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের রকেট ও মর্টার হামলায় নির্দেশনা ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল।
‘এতে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হামাসের রকেট ও মর্টার বেসামরিক জনগণের ওপর আঘাত হানে। বেসামরিক এলাকায় এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে।’
এইচআরডব্লিউর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এরিক গোল্ডস্টেইন বলেন, ‘ইসরায়েলের উদ্দেশে বেআইনিভাবে রকেট ছোড়ার ন্যায্যতা দেয়ার চেষ্টা করছে হামাস। তাদের এটি বন্ধ করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘হামলার হাত থেকে বেসামরিক জনগণকে রক্ষার লক্ষ্যেই যুদ্ধনীতির প্রবর্তন হয়।’
সংঘর্ষের পর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ৪ হাজার ৩৬০টির বেশি রকেট ও মর্টার গাজা উপত্যকা থেকে ছুড়েছে হামাস। এতে ১৩ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়।
১১ দিনের ওই সংঘর্ষে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় শিশুসহ কমপক্ষে ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদের পক্ষে জায়নবাদী রাষ্ট্রটির আদালতের নির্দেশকে ঘিরে চলতি বছরের এপ্রিলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে মুসলমানদের পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ চত্বরেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর মসজিদ এলাকায় দফায় দফায় হামলা চালায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষ শুরু হয় যা ১১ দিন পর মিসরের মধ্যস্থতায় বন্ধ হয়।
গত মাসে এইচআরডব্লিউ জানিয়েছিল, ওই সংঘর্ষে ইসরায়েলের তিনটি বিমান হামলায় ৬২ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যেসব এলাকায় ওই হামলাগুলো হয়, সেখানে সামরিক স্থাপনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।