বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১ সপ্তাহে ১০ প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে

  •    
  • ১২ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৪৮

শহরের বিভিন্ন এলাকায় তালেবানের বিরুদ্ধে আফগান সেনাবাহিনী এখনও লড়াই করে গেলেও বেশিরভাগ জায়গাতে তালেবানের দৌরাত্ম্য চলছে। অন্যদিকে কান্দাহারে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ কারাগার দখল করে এক হাজার বন্দিকে মুক্ত করে দিয়েছে তালেবান, দখল করেছে হেলমান্দ প্রদেশের লস্কর গাহ শহরে পুলিশের প্রধান কার্যালয়ও।

এক সপ্তাহের মধ্যে দশম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে গাজনি শহর দখলের দাবি করেছে আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তালেবান দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আফগান সরকার। কাবুলের দাবি, মাত্র দেড় শ কিলোমিটার দূরের শহরটি এখনও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।

কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপিকে গাজনির প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান নাসির আহমেদ ফাকিরি বলেন, ‘শহরের প্রধান প্রধান এলাকাগুলো এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। গভর্নরের কার্যালয়, পুলিশের প্রধান কার্যালয়, কারাগার- সব জায়গায় পৌঁছে গেছে তালেবান।’

অবশ্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় তালেবানের বিরুদ্ধে আফগান সেনাবাহিনী এখনও লড়াই করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু বেশিরভাগ জায়গাতেই তালেবানের দৌরাত্ম্য চলছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তালেবানের মুখপাত্রের দেয়া বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার গাজনি দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কান্দাহারের সারপোসা কারাগারে হামলা চালিয়েছে তালেবান, মুক্ত করে দিয়েছে প্রায় এক হাজার বন্দিকে। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ কারাগার এটি।

কাবুল-কান্দাহার মহাসড়ক আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি। তালেবান নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ সড়কও এটি।

অন্যদিকে হেলমান্দ প্রদেশে লস্কর গাহ শহরের পুলিশের প্রধান কার্যালয়ও এখন তালেবানের দখলে।

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত কান্দাহার তালেবানের দখলে চলে গেলে তা হবে আফগান সরকারের জন্য বড় আঘাত।

সারপোসা কারাগারে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করে কারা কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, ‘বুধবার সন্ধ্যায় কারাগারটিতে প্রবেশ করে তালেবান যোদ্ধারা। গত রাত থেকে শুরু হয় আক্রমণ। এখন ওই এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে।’

তিনি আরও বলেন, কান্দাহারের কয়েকটি এলাকা এখনও আফগান সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে শহরের কেন্দ্রে আহমেদ ওয়ালি খান চত্বর তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। ঠিক কী পরিমাণ কয়েদিকে তারা মুক্তি দিয়েছে জানি না। কিন্তু সংখ্যাটা অনেক।’

আফগান সরকারের আরেক কর্মকর্তা জানান, ‘শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত কারাগারটিতে হামলা চালিয়ে বিপুলসংখ্যক বন্দিকে মুক্ত করে দিয়েছে তালেবান। এদের অনেকেই রাজনৈতিক বন্দি ছিলেন এবং কিছুদিন আগে কাবুল থেকে তাদের এই কারাগারটিতে নেয়া হয়।’

তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকার পর কারা কর্তৃপক্ষ আত্মসমর্পণ করেছে এবং অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর