আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তালেবানের আগ্রাসন বাড়তে থাকার মধ্যেই এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান নেতাদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘নিজ দেশ ও জাতির জন্য লড়াই’ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর ২০ বছরের যৌথ অভিযান প্রায় শেষের দিকে। বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সুযোগে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে হটিয়ে দেশের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান।
অস্ত্রবিরতি কার্যকরে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে গত পাঁচ দিনে ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে কমপক্ষে আটটির রাজধানী দখল করেছে তালেবান। অন্য রাজধানীতেও লড়াই চলছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধাদের।
এ অবস্থায় হোয়াইট হাউজে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন জানান, আফগানিস্তানকে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি রাখা হচ্ছে। তালেবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা, আফগান সেনাদের বেতন পরিশোধ এবং খাদ্য ও অন্যান্য সরঞ্জামেরও জোগান দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রের লড়াইটা তাদেরই করতে হবে।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধাদের লড়াইয়ের বলি হয়েছে এক হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ চলতি সপ্তাহে জানায়, শিশুদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে দেশটিতে।
বিভিন্ন অঞ্চলে তালেবানের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া আফগান বাহিনী। তালেবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান বিমানবাহিনী।
সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। তারা আশ্রয় নিচ্ছে ইরান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশে।
তালেবান কুন্দুজ দখলের পর শহরটি ছেড়ে আসা এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘কারাগারের কাছে রাস্তায় অনেক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি…মৃতদেহগুলোর পাশে কুকুর ঘোরাঘুরি করছিল।’
তবে তালেবান যোদ্ধাদের মূল লক্ষ্য আফগান সরকার সমর্থিত বাহিনীগুলোর যোদ্ধারা। তাই সহিংস পরিস্থিতির মধ্যেই শহরের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে স্থানীয়রা।