বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাস্কের বিরোধিতা করায় ঠিকানা মানসিক হাসপাতাল

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৫৮

ব্রিটিশ নাগরিক বেঞ্জামিন গ্লিনকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয় গত মে মাসে। ওই সময় মাস্ক ছাড়া তার ভিড়ভাট্টার ট্রামে ভ্রমণ করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। তবে মাস্ক না পরার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

সিঙ্গাপুরে স্বদেশি-বিদেশি সবার জন্যই নাগরিক আইন বেশ কঠোর। করোনাকালে এই আইনের সঙ্গে মাস্ক পরাসহ যুক্ত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। না মানলে জরিমানা তো বটেই, জেলে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

এই আইনের মারপ্যাঁচে পড়েই এবার মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে মাস্ক পরার ঘোর বিরোধী এক ব্রিটিশ নাগরিককে। মাস্ক না পরার জেরে আদালতে গিয়ে তুমুল যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। আর তাতেই ওই ব্রিটিশের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহ জাগে বিচারকের। ফলাফল, তাকে পাঠানো হয়েছে মানসিক হাসপাতালে।

ব্রিটিশ নাগরিকের নাম বেঞ্জামিন গ্লিন। তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু গত মে মাসে। ওই সময় মাস্ক ছাড়াই ভিড়ভাট্টার ট্রামে তার ভ্রমণ করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। পৌঁছে যায় তার বাড়িতে। সেখানে বাধে আরেক বিপত্তি। মাস্ক না পরার পক্ষে যুক্তি দিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

সব মিলিয়ে গ্লিনের বিরুদ্ধে এখন একাধিক অভিযোগ। স্বাস্থ্যবিধি না মানার দোষ তো আছেই, পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও আনা হয়েছে। আরও রয়েছে জনসমক্ষে হেনস্থা এবং উপদ্রব তৈরির অভিযোগ। করোনার মাঝে সিঙ্গাপুরে এ ধরনের প্রতিটি অভিযোগের ক্ষেত্রে ছয় মাসের জেলের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

মাস্ক ছাড়াই বেঞ্জামিন গ্লিনের ট্রামে ভ্রমণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে

গ্লিনকে আদালতে তোলা হয় গত বৃহস্পতিবার। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে যিনি উপস্থিত ছিলেন, তার সিঙ্গাপুরে আইন চর্চা করার নিবন্ধন নেই। ফলে গ্লিন নিজেই আদালতে নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক নন। কাজেই তার ওপর সিঙ্গাপুরি আইন বলবৎ হবে না। এ ছাড়া ইউরোপ-আমেরিকায় মাস্ক পরার বিধান উঠে যাচ্ছে। কারণ, এখন আর এর উপযোগিতা নেই।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তুমুল বিবাদে জড়িয়ে পড়েন গ্লিন। সরকারি আইনজীবী টিমেথেয়াস কোহ বলেন, ‌‘আদালতে আসামির আচরণ থেকেই তার অবস্থা স্পষ্ট।’

পরিস্থিতি বিবেচনায় বিচারক এডি থেম মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে গ্লিনকে পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেন।

তবে গ্লিনের পরিবারের দাবি, তিনি একেবারেই সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তার ওপর আদালত অন্যায় করছে।

গ্লিন নিজেও একই দাবি করেছেন। ‌‘আমি মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ। আমি কোন আইন ভেঙেছি? আমি আগেও আপনাকে (বিচারক) এ প্রশ্ন করেছি। আপনি আমাকে চুপ করিয়ে দিয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর