কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে ত্রিপুরায় তৃণমূলকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রাম সফরে যাওয়ার আগে সোমবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। সেখানে ভর্তি রয়েছেন ত্রিপুরায় বিজেপির হামলায় আহত সুদীপ রাহা, জয়া দত্তসহ তৃণমূলকর্মীরা।
তৃণমূল নেত্রী মমতা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে কর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসসহ তৃণমূল নেতারা।
মমতা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এদের পাথর মারা হয়েছে, গুলি চালানো হয়েছে, গাড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় পুলিশের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে এদের মেরেছে। ৩৬ ঘণ্টা কোনো চিকিৎসা করতে দেয়া হয়নি, এক গ্লাস খাবার পানি দেয়া হয়নি।
‘কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে এ হামলা হয়েছে, এটাই আমি বিশ্বাস করি। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস হতে পারে না। ত্রিপুরা আমার পাশের রাজ্য। ত্রিপুরা আর বাংলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিজেপির নিজ রাজ্যে মানুষকে সেবা দেয়ার ক্ষমতা নেই, অন্য রাজ্য নিয়ে শুধু চিৎকার করে। চোরের মায়ের বড় গলা।
‘আগামী দিনে আমরা ত্রিপুরা জয় করব, এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এই অত্যাচারের জবাব মানুষ দেবে।’
তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করেছে। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় সরকার গঠনের ব্যাপারে আশাবাদী তারা। এ নিয়ে চলছে জোরদার রাজনৈতিক তৎপরতা।
অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক বিরোধে বিজেপিকর্মীরা শনি ও রোববার তৃণমূল যুব নেতৃত্বের ওপর হামলা চালায়। একই সময়ে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তৃণমূলের ১৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরা পুলিশ।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আইনি প্রক্রিয়ায় তৃণমূলকর্মীদের মুক্তির পর ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।