পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় সেরেনা হোটেলের কাছে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২ পুলিশ সদস্য।
কোয়েটার তানজিম চকের কাছে রোববার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটে বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি এক বিবৃতিতে জানান, ১৫ পুলিশ সদস্য বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণে ছয় বেসামরিক নাগরিকও আহত হন।
তিনি জানান, এক মোটরসাইকেলে উন্নত বিস্ফোরক যন্ত্র (আইইডি) লাগানো ছিল।
বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম দপ্তরের (সিটিডি) দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহওয়ানি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা প্রদেশের শান্তিতে বিঘ্ন ঘটিয়ে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।
‘শান্তিপূর্ণ বেলুচিস্তানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানও ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়ে শোক জানান।
তিনি বলেন, ‘বেলুচিস্তানের শান্তি নষ্ট করতে সন্ত্রাসীদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা আমরা কখনোই সফল হতে দেব না।’
ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন কর্মকর্তাদের দ্রুত দেয়ার নির্দেশ দেন বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসায় ত্রুটি না থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়।
একই দিন কোয়েটার সারিয়াব সড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের গ্রেনেড হামলায় আহত হন রাস্তার ধারের এক দোকানি।
১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির পতাকা ও অন্যান্য উপকরণ বিক্রি করছিলেন তিনি।
তিন মাস আগে এ সেরেনা হোটেলেরই পার্কিং লটে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও অনেকে।
ওই ঘটনার পর কোয়েটা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি হামলা হয়।
ওইসব হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক হয় আহত হয়েছে বা প্রাণ হারিয়েছে।
গত মাসের শেষের দিকে কোয়েটার উপকণ্ঠে হাজার গাঞ্জি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে অন্তত চারজন আহত হয়। ওই হামলায় পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনীর এক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।