বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে পরমাণু আলোচনা

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২১ ২০:২৭

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার ইরানের রাজধানী তেহরানে রাইসির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পরমাণু আলোচনায় ইইউর পক্ষে সমঝোতাকারী এনরিকে মোরা।

ইরান ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার আলোচনা নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অধীনে ফের শুরু করতে তেহরান প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক কর্মকর্তা।

সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ভিয়েনায় এ আলোচনা শুরু হতে পারে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় সময় শনিবার ওই কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউর ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার ইরানের রাজধানী তেহরানে রাইসির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পরমাণু আলোচনায় ইইউর পক্ষে সমঝোতাকারী এনরিকে মোরা।

পরমাণু চুক্তি আলোচনায় ইরানের পক্ষে দায়িত্ব পাওয়া হোসেন আমির-আব্দল্লাহিয়ানের সঙ্গে শপথ অনুষ্ঠানে আলাপ হয় মোরার।

ইইউর ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রাইসির মন্ত্রিসভায় আমির-আব্দল্লাহিয়ান নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা এখনও আসেনি।

পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার আলোচনায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মতো অন্য কোনো সংস্থা দায়িত্বে থাকবে, তা পরিষ্কার নয় বলে জানান ইইউর ওই কর্মকর্তা।

ইরানের সঙ্গে এ মুহূর্তে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইসরায়েলসহ বিশ্ব পরাশক্তি দেশগুলোর উত্তেজনা চলছে।

গত সপ্তাহে ওমান উপসাগরে ইসরায়েলের ট্যাংকারে ড্রোন হামলায় দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা যুক্তরাজ্য ও রোমানিয়ার নাগরিক।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপান- এই সাত দেশ ওই হামলায় ইরানকে দায়ী করে।

অবশ্য জি-সেভেনভুক্ত ওই সাত দেশের অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান।

২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জয়েন্ট কম্প্রেহেন্সিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইরান।

এতে বলা হয়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণের বিনিময়ে দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।

বারাক ওবামার আমলের সেই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

এরপরই ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।

পরমাণু চুক্তিতে ফেরা নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো।

আর ওই আলোচনায় পরোক্ষ অংশগ্রহণ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

এপ্রিলে শুরু হওয়া আলোচনা ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কারণে জুনে মুলতবি হয়। ওই তিন মাসে ছয়বার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে পশ্চিমা দেশগুলো।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর আলোচনা ফের শুরুর কথা জানিয়েছিল ইরান।

এ বিভাগের আরো খবর