ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের হামলার কড়া জবাব দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন লেবাবনের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।
লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই স্থানীয় সময় শনিবার তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দীর্ঘদিন পর লেবাননকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
এর জবাবে পরদিন শুক্রবার ইসরায়েলের উদ্দেশে রকেট ছোড়ে শিয়াপন্থি দল হিজবুল্লাহ।
২০০৬ সালে ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির কয়েক দিন আগে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে নাসরাল্লাহ বলেন, ‘১৫ বছর পর এই প্রথম লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা করেছে ইসরায়েল। আমরা শুক্রবার তারই জবাব দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শত্রুদের জানাতে চাই, লেবাননের মাটিতে ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের বিমান হামলা অবধারিতভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখবে।
‘যথাযোগ্য ও আনুপাতিকভাবেই ইসরায়েলি হামলার জবাব দেয়া হবে। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা আমরা মাথায় রাখব।’
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে দেশটির ‘বিপজ্জনক উন্নয়ন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন নাসরাল্লাহ। তবে হিজবুল্লাহ কোনো যুদ্ধ চায় না বলে জানান তিনি।
নাসরাল্লাহ বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধের পথে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে দরকার পড়লে আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’
ইসরায়েলের দিকে হিজবুল্লাহর রকেট ছোড়া বন্ধ করতে শুক্রবার লেবানন সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৬ সালে লেবানন ও ইসরায়েলের ৩৩ দিনের টানা যুদ্ধে ১ হাজার ২০০ লেবানিজ নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। আর ইসরায়েলে মৃত্যু হয় ১৬০ জনের।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ওই বছরের ১৪ আগস্ট দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
লেবাননের ১৯৭৫-১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধ শেষে একমাত্র হিজবুল্লাহই অস্ত্র সমর্পণ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের পাশাপাশি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তকমা রয়েছে হিজবুল্লাহর গায়ে।
তবে শিয়াপন্থি সংগঠনটি লেবাননের রাজনীতিতে অন্যতম ক্ষমতাবান খেলোয়াড়। দেশটির পার্লামেন্টে সংগঠনটির নেতাদের আসন রয়েছে।