পাকিস্তানে চীনের সহযোগিতায় নির্মাণাধীন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় ৯ চীনা প্রকৌশলীসহ ১৩ জন নিহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে এক বিবৃতিতে পরিষদ এই নিন্দা জানায় বলে রোববার ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করতে সব রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় নিরাপত্তা পরিষদ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিবৃতিতে বলে, ‘১৪ জুলাই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে কাপুরোষিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
‘হামলায় হতাহতদের পরিবার, পাকিস্তান ও চীন সরকারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে হামলায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্যলাভের কামনা করি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে জড়িত অপরাধী, সংগঠন, অর্থায়নকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।’
পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩ জন নিহতের ঘটনার নিন্দা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের।
পাকিস্তান ও চীন সরকারের সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানায় নিরাপত্তা পরিষদ।
১৪ জুলাই সকালে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহিস্তান জেলায় যাত্রীবাহী বাস দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে যাওয়ার পথে গিরিখাদে পড়ে যায়। খাদে পড়ার আগে বাসটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় প্রকল্পের ৯ চীনা প্রকৌশলীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২৮ জন।
হামলার পর পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, কোহিস্তানে বাস বিস্ফোরণে সন্ত্রাসবাদের শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরক পাওয়া গেছে।
ওই হামলার তিন দিন পর চীনের ১৫ সদস্যের তদন্তকারী দল পাকিস্তানে পৌঁছায়।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেন, ‘বাস বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংস্থা ওই ঘটনা তদন্তে কাজ করছে। তদন্ত দলে চীনের ১৫ কর্মকর্তাকেও যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চীন সরকারকে ফের আশ্বস্ত করছি, চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের (সিপিইসি) শত্রু ও চীন-পাকিস্তান বন্ধুত্বে ফাটল ধরানোর চেষ্টারত দুর্বৃত্তদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না।’