চরম খাদ্যসংকটের মধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ দিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রোববার এই তথ্য জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়া চলমান বৈশ্বিক অবরোধের মধ্যে এখন চরম খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব শোচনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সেনা কমিশনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সাউথ হ্যাংইয়ংয়ে। সেখানে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উঠে আসে।
ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কী কী করণীয় রয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা হয় বলে জানায় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ।
কিম অবশ্য সে সভায় অংশ নেননি। তবে দলের নেতারা সভাটিতে তার দেয়া বার্তা পৌঁছে দেন।
কেসিএনএ জানায়, সেই সভা থেকে সেনাবাহিনীকে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেন কিম।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কিম সেই নির্দেশের সঙ্গে দলের নেতাদেরও ত্রাণ দিতে উৎসাহ দেন। ক্যাম্পেইনটি যেন খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায় তার ওপর জোর দেন।
অবশ্য অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কোনো হিসাব দেয়নি সংবাদমাধ্যমটি।
তবে সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সরবরাহ, উদ্ধারকাজ পরিচালনা, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে পুনর্গঠন এবং করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা করার কাজ করতে।
পরমাণু কর্মসূচি ও অস্ত্র তৈরির কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দেশটির অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছে।
গত জুনে দেশটি চরম খাদ্যসংকটে পড়েছে বলে শিকার করেন কিম জং উন। তখন তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও টাইফুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ জন্য খাদ্যসংকট বেড়ে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি গত ২৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক আইনপ্রণেতা বলেন, জরুরিভাবে খাদ্যসংকট থেকে উত্তরণের জন্য উত্তর কোরিয়ার এখন কমপক্ষে ১০ লাখ টন চাল প্রয়োজন।