পশ্চিমবঙ্গের ভোটের পরে সহিংসতায় এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগে টুইট করে বিপাকে পড়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
বীরভূমের নানুরের এক নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে ওই বিজেপি নেত্রী টুইট করেন। যদিও জেলা পুলিশ সুপারের দাবি, টুইটের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।
একই সঙ্গে ভুয়া টুইটের অভিযোগে অগ্নিমিত্রা পলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০১, ৫০২, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারায় মামলা করেছে বীরভূম জেলার সাইবার ক্রাইম পুলিশ।
শুক্রবার এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা সিউড়ির সাইবার ক্রাইম থানায় হাজিরা দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় সহিংসতা লেগেই আছে। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূমে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে । নানুরে বেশ কয়েকজন নারী বিজেপি সমর্থক ধর্ষণ এমনকি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।’
অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘এ রকম এক নারী ফোন করে জানিয়েছেন তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাই সেকথা টুইট করেছিলাম। তবে কোন জায়গার কথা উল্লেখ করিনি টুইটে। ওই পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার সেলের পুলিশ মামলা করেছে। তাই থানায় দেখা করতে এসেছিলাম। কেন টুইট করেছি, সেটি পুলিশকে জানিয়েছি।’
বিজেপি বিধায়কের টুইটের ভিত্তিতে আগেই সংবাদ সম্মেলন করে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছিলেন, 'ধর্ষণ বা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা বীরভূমে ঘটেনি।’
এমনকি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অগ্নিমিত্রার অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে ওই নারীকে পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
সেখানে ওই নারী বলেন, ‘তাকে কেউ ধর্ষণ বা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেনি। বিজেপি কর্মী হওয়ায় ভোটের ফল প্রকাশের পর বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন।’
ফলে অগ্নিমিত্রা পলের টুইটের সত্যতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে।