কিউবার দক্ষিণাঞ্চলে গুয়ানতানামো বে কারাগার দ্রুত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা বাইডেনের প্রতি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কারাগারটিতে এ মুহূর্তে বন্দি ৩৯ জনের মুক্তি বা কেন্দ্রীয় আদালতে তাদের অবিলম্বে বিচার শুরুর আহ্বান জানান আইনপ্রণেতারা।
১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার ২০ বছর হতে চলেছে।
দেশটির ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা চাইছেন, কুখ্যাত ওই কারাগার ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই বন্ধ করা হোক।
দলটির ৭৫ আইনপ্রণেতা বাইডেনের উদ্দেশে এক চিঠিতে বলেন, দক্ষিণ কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পরিচালিত গুয়ানতানামো বে কারাগার পরিচালনা ব্যয়বহুল। এর অবকাঠামোর অবস্থাও করুণ।
এ ছাড়া ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত কারাগারটি গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রকে লজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেয়নি।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সদস্য ও সমর্থকদের খুঁজতে বিশ্বজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালান যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।
ওই বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটিতে চালু করা গুয়ানতানামো কারাগারে আটক ব্যক্তিদের রাখা হয়।
তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে কারাগারে বন্দিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নির্যাতনের ছবি বিশ্বমিডিয়ায় প্রকাশের পর নিন্দার ঝড় ওঠে।
চিঠিতে আইনপ্রণেতারা বলেন, ‘গুয়ানতানামো কারাগারে ৮০০ জনের মতো বন্দিকে রাখা হয়। তাদের মধ্যে এখন শুধু ৩৯ জন কারাগারটিতে রয়েছেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিবছর কারাগারটি পরিচালনায় ৫০ কোটি ডলার ব্যয় হয়। আর প্রতি বন্দির জন্য বার্ষিক খরচ ১ কোটি ৩০ লাখ।
‘কারাগারটি চালু রাখা আমাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ওপর কলঙ্ক। একই সঙ্গে এ কারাগার মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
গুয়ানতানামোতে বন্দি অনেকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছিল না।
যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে অনেক বন্দিকে আটক করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বছরের পর বছর তারা কারাগারে করুণ জীবনযাপন করছেন।